সরব হচ্ছে কুরবানির হাট

মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: বাগমারায় কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমতে শুরু করেছে গরু ছাগলের হাট। গতকাল সোমবার উপজেলা ভবানীগঞ্জ ও তাহেরপুর হাটে গরু ছাগলের আমদানীতে ব্যপকতা লক্ষ করা য়ায়। এসব হাট ছাড়াও উপজেলার অন্যান্য হাটেও কুরবানীর গরু ছাগল আমদানী শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার এই বৃহত্তম হাট ছাড়াও অন্যান্য হাটে আগত ক্রেতা বিক্রেতা সূত্রে জানা গেছে, কুরবানীর আর বেশি দিন দেরি নেই। এরি মধ্যে জমতে শুরু করেছে কুরবানীর পশুর হাট। দূরধূরান্তের বেপারীরা হাট গুলোতে এখনও ব্যাপক হারে পশু আমদানী শুরু না করলেও স্থানীয় কৃষক ও গৃহস্থরা তাদের বাড়িতে থাকা গরু ছাগল গুলো হাটে আমদানী শুরু করেছেন। সোমবার উপজেলার ভবানীগঞ্জ হাটে গিয়ে দেখা যায় ব্যাপক হারে গরু ছাগল আমদানী শুরু হয়েছে।
এই হাটেই ছাগল বিক্রেতা খামারগ্রামের আসাদুল জানান, কুরবানির হাট পরিপুর্ণভার্বে জমে ওঠতে আরো সপ্তাহ খানেক লাগবে। তখন দূরদূরান্ত থেকে বেপারীরা গরু ছাগল আমদানী শুরু করবেন। বর্তমান হাটে যে গরু ছাগল আমদানী শুরু হয়েছে তা স্থানীয়ভাবে লালন পালন করা।
এই হাটে আগত ক্রেতারা জানান, এখনও বড় বড় খাসি আমদানী শুরু হয়নি। হাটে যে পরিমান খাসি আমদানী হয়েছে তার চেয়ে বকরির সংখ্যাই বেশি। এই হাটের ক্রেতা বেলাল হোসেন জানান, পনের কেজির মত মাংস হবে এমন খাসি ১৩-১৪ হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।
্অপর দিকে একই হাটে গরুর কেনাবেচাই ঢিলেডালা ভাব লক্ষ করা গেছে। কুরবানীর জন্য বিশেষ যত্নে লালন পালন করা গরু এখনও আমদানী শুরু হয়নি বলে জানান বেপারীরা। তাদের মতে হাটে আগত অধিকাংশ গরু বয়সে ছোট। এগুলো কুরবানীর জন্য বয়স পূর্ন হয়নি। কুরবানির জন্য স্পেশাল গরুর কেনাবেচা শুরু হতে আরো ৪-৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে তারা জানান।
হাটে আগত বিভিন্ন ক্রেতা ও বেপারীরা জানান, বাগমারার বিভিন্ন হাট বাজারের শোচনীয় অবস্থা। এখানে গরু ছাগল রাখার মত বিশেষ কোন সুযোগ সুবিধা নেই। বৃষ্টি নামলে দাঁড়ানোর মত কোন জায়গাও নেই। অথচ হাটগুলোতে খাজনার হার ব্যাপক বেশি। এখানে শাখের করাতের মত ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের কাছে খাজনা আদায় করা হয়। একটি খাসি বিক্রি করলে ক্রেতার কাছে ৫শ টাকা এবং বিক্রেতার কাছে ২শ হারে আদায় করা হয়।
গরুর ক্ষেত্রে এর দ্বিগুন হারে টাকা আদায় করা হয়। তারা এই বিষয়টি মনিটরিং করে সরকারি রেট টাঙ্গিয়ে সেই অনুযায়ী খাজনা আদায়ের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুবুল ইসলাম জানান, কোন ভাবেই সরকার নির্ধারিত রেটের চেয়ে অতিরিক্ত হারে খাজনা আদায় করা যাবে না। এ বিষয়ে প্রমান সহ কোন অভিযোগ পেলে জরিমানা সহ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হবে।


প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৪ | সময়: ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ