বৃহস্পতিবার, ২৭শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: সাহিত্যের পাতায় মধুমাস চৈত্র হলেও বাঙালির মুখে জ্যৈষ্ঠই মধুমাস। এ মাসে পাওয়া যায় আম, জাম, লিচুসহ দেশি-বিদেশী নানা ফল। কিন্তু মধুর স্বাদের এক টুকরো তাজা ফল কিনে খেতে পারছেন না মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কারণ, ভরা মৌসুমেও ফলের বাজার নাগালের বাইরে ।
বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৌসুমি সব ফলের দাম। গত বছরের চেয়ে বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। তাইতো সাধ থাকলেও কেনার সাধ্য নেই জনসাধারণের। হারিয়েছেন দেশী-বিদেশী ফল কেনার ক্রয় ক্ষমতা।
আমের দেশে মানভেদে প্রতি কেজি আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে দেড়শো টাকায়। অথচ গতবছরেও এই আম বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় । আর রসালো ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায় ।
প্রাথমিকের পাতায় পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের মামার বাড়ি কবিতায় লেখা ‘পাকা জামে মধুর রসে রঙিন করি মুখ’ সেই পাকা জামের দাম শুনলেই ক্রেতাদের রঙিন মুখ হয়ে যায় কালচে। কারণ, প্রতিকেজি জাম বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজিতে। ক্লান্ত শরীরে ঢকঢক করে পান করবেন ডাবের পানি তাতেও আপনার খরচা হবে ১৩০ টাকা। বাজার শেষে বাসায় যাবেন সাথে নিবেন কলার হালি দিতে হবে ৩৫ টাকা ।
এদিকে, বাজারে আপেল, মাল্টা, নাশপাতির কেজি ৩০০ টাকার উপরে। কমলা, আঙ্গুর, ড্রাগন ৪০০ টাকা পেরিয়েছে । লাল কালো আঙ্গুরের সাথে বেদানা আর স্ট্রবেরী কিনতে আপনাকে গুনতে হবে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত ।
রাজশাহীর ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দামের এমন চিত্র। এ জনপদের মানুষ বলছে ব্যাবসায়ীদের কারসাজি আর সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ফলের ভরা মৌসুমেও দাম চড়া। আর ভোক্তাদের এমন অভিযোগের মুখে ব্যবসায়ীদের অজুহাত ডলার সংকট আর বৈরী আবহাওয়া। যার করণেই দাম বাড়ছে দেশি-বিদেশি ফলের ।