বৈরী আবহাওয়ায় আম নিয়ে এখনো শঙ্কায় পুঠিয়ার চাষিরা

পুঠিয়া প্রতিনিধি :
রাজশাহীর পুঠিয়ায় চলতি মৌসুমের শুরুতে অনুকূল আবহাওয়া থাকার পরও আম বাগানে গত বছরের চেয়ে কমপরিমাণ ফল ধরেছে। তবে সম্প্রতি তীব্র খরা ও পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমের ফলনে ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা চাষিদের। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,চলতি বছর নতুন ও পুরাতন মিলে প্রায় ১হাজার ৫শ ৪৭ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। গত মৌসুমে এই এলাকায় আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৮হাজার ৫শ ৬৪ মেট্রিক টন এবং উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৭হাজার মেট্রিক টন আম। তবে এ বছরে মাত্র ১০হাজার ৮শ ৫০ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে বলে ধারণা করা হ”েছ।
গত কয়েক বছর থেকে এই অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়ার বিরাজ করায় চাষিরা বিভিন্ন ধান- গমসহ ফসল উৎপাদন করে লোকসানের মুখে পড়ছেন। যার কারণে তারা স্বল্প খরচে অধিক লাভের আশায় ফসলি জমিগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছ রোপণ করছেন।

 

স্থানীয় চাষিরা জানান, গত বছর পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এ বছর বেশির ভাগ আম বাগানে মুকুল হয়নি। আবার মৌসুমের শুরু থেকে কোনো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মুকুল ও কুঁড়িগুলো শুকিয়ে ঝড়ে যায়। তার ওপর এবার মাত্রারিক্ত দাবদাহ হওয়ায় অনেক বাগানে আম পচন রোগ দেখা দিয়েছে। চাষিরা ফেটে যাওয়া ও পচন রোধে বিভিন্ন প্রতিরোধক ব্যবহার করেও পর্যাপ্ত সুফল পাচ্ছে না।

 

উপজেলায় কর্মরত গোলাম সাকলাইন স্মৃতি জানায়, আম সাধারণত দুটি কারণে পচন ধরতে পারে। একটি হচ্ছে ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। অপরটি হলো আম ছিদ্রকারী মাছি পোকার কারণে হতে পারে। তবে না দেখে বলা যাবে না।

 

বাগানমালিক মনিরুল ইসলাম বলেন,এবার বৃষ্টিপাত কম। তার ওপর এখন অনেক তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এতে আমের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে মৌসুমের শুরু থেকে এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম। যার কারণে তাপমাত্রাও অনেক বেশি হয়েছে। এতে করে আম বিভিন্ন ফসলের কিছুটা ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। বাগানগুলোতে রোগবালাই কমাতে সঠিক মাত্রায় স্প্রে করলে পচন ও পোকামাকড় থেকে অনেক অংশে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৪ | সময়: ৯:৪৯ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine