সর্বশেষ সংবাদ :

একটি হাত রক্ষার জন্য ১৪০টি শেলাই

স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা: সময় রাত ৯টা। নিকটতম বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল কিশোর দিপু। পথিমধ্যে তার হাতের কবজিতে হাসুয়া দিয়ে কোপ দিয়ে জখম করলো প্রতিপক্ষরা। এতে সঙ্গাহীন অবস্থায় তাকে নেয়া হয় রামেক হাসপাতালে। এরপর ডাক্তারদের অস্ত্রপচার। এতে একটি হাত রক্ষার জন্য দেয়া হলো ১৪০ টি শেলাই। বুধবার নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটে বাঘার ফতেপুর বাউসা গ্রামে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার সকালে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ফতেপুর বাজার থেকে নিজ বাড়ি ফিরছিল কিশোর দিপু (১৪)। এ সময় ৩-৪ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তার পথ রোধ করে হামলা চালায়। অতর্কিত ভাবে ধারালো হাসুয়া দিয়ে দুই হাতের কবজিতে কোপ দেয়। এতে একটি হাতের তিন ভাগের দু’ভাগ আলাদা হয়ে যায় তার। মুহুর্তের মধ্যে একটি চিৎকার দিয়ে সঙ্গাহীন হয়ে পড়ে কিশোর দিপু। এই চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। কিন্তু অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সিয়াম তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ট করেন।
এ বিষয়ে দিপুর পিতা মোমিন হোসেন জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফতেপুর গ্রামের নবাব উদ্দিন ও তার ছেলে রেজাউল ইসলাম এবং রবিউল ইসলাম পথ রোধ করে আমার ছেলে দিপুকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে লোকজনের কাছে থেকে জেনে দৌঁড়ে গিয়ে দেখি ছেলে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক ভাবে লোকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এরপর সেখান থেকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার শরীরে অস্ত্রপচার করে একটি হাতে ১৪০ টা এবং অন্য হাতে ৩০টি শেলাই দিয়ে তাকে আইসিউতে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) তদন্ত সোয়েব খান বলেন, বুধবার রাতে উল্লেখিত ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক ছিল। তবে শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আসামী রবিউলকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৪ | সময়: ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ