বৃহস্পতিবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।
বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠাতে ৭০-৮০ টি ভটভটি, করিমন, নছিমনসহ তিন চাকার যানবাহন ব্যবহার করা হচ্ছে। পরিবহন সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে ব্যালট বাক্স, পেপারসহ পুলিশ, প্রিজাইডিং ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের কেন্দ্রে পাঠাতে এ যান ব্যবহার করা হচ্ছে। বৈধ কাগজপত্র না থাকলেও নির্বাচনের দিন বৈধতা পেয়ে যায় গাড়িগুলো। দাপিয়ে বেড়ায় সড়ক-মহাসড়ক। অপ্রতুল গাড়ি ও বরাদ্দ স্বল্পতার কথা বলে গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার হচ্ছে এসব গাড়ি।
নিবন্ধন না থাকায় বরাবরই নছিমন-করিমনসহ তিন চাকার যান সড়কে চলাচল নিষিদ্ধ। এসব যানের চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রশিক্ষণ না থাকায় এসব যানে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া ভারী চাকা ও অতিরিক্ত মালপত্র বহনের কারণে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ পাকা সড়ক। অবৈধ যান হওয়ায় মাঝে মধ্যেই জরিমানা গুনতে হয় এগুলোর চালকদের। অথচ নির্বাচন এলেই তাদের ডেকে এনে ভাড়া মিটিয়ে বৈধতা দিয়ে থাকে প্রশাসন।
বুধবার তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন। এ উপলক্ষে গতকাল থেকেই বড়াইগ্রাম উপজেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভটভটি, করিমন, নছিমনসহ নানা ধরনের যান। সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার ১০০ টি ভোটকেন্দ্রে মাত্র ২০-২২ টি কেন্দ্রে মিনি ট্রাক ব্যবহার করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৭০-৮০ টি কেন্দ্রে অবৈধ যানবাহনে নির্বাচনী সামগ্রী এবং নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত সদস্যদের বহন করা হচ্ছে। ছাদবিহীন এসব যানবাহনে নির্বাচনে ব্যবহৃত অস্ত্র ও সরঞ্জাম আনা-নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন।
ভটভটির মালিক ও চালক সোহেল রানা জানান, মামলা-জরিমানার ভয় নিয়েই পথে বের হতে হয়। এ কারণে পারতপক্ষে মহাসড়ক এড়িয়ে অন্য সড়কগুলোতে চলাচল করি। সারা বছর কখনও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে, কখনও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। কিন্তু ভোটের সময় প্রশাসনের প্রয়োজনে এগুলো বৈধ হয়ে যায়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আযম খান বলেন, নির্বাচনী সরঞ্জাম ও কর্মকর্তাদের পরিবহনের জন্য পর্যাপ্ত গাড়ি আমাদের নেই। তাছাড়া বেশি টাকায় ভাড়া নিয়ে অন্য যানবাহন আনার মতো বরাদ্দও দেওয়া হয় না। তাই বাধ্য হয়ে অবৈধ হলেও এসব পরিবহন ব্যবহার করতে হচ্ছে।
আজ তৃতীয় ধাপের বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাচন। মোট ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৩৮ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১০০টি। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে দু’জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।