রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপ দলে ডাক পাওয়ার খবর শুনে বল হাতে আলো ছড়ালেন ওবেদ ম্যাককয়। শামার জোসেফ ও গুদাকেশ মোতিও কম যাননি।
দুর্দান্ত বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৬৩ রানেই বেঁধে দেন তারা। ধবলধোলাই এড়ানোর জন্য প্রোটিয়াদের তা যথেষ্ট ছিল না। জনসন চার্লসের ঝড়ে সেই রান ৩৭ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই পাড়ি দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে এলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ দলে থাকা খেলোয়াড়রা ছন্দে ছিলেন না পুরো সিরিজেই। স্যাবাইনা পার্কে শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে ৫০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। এরপর ভিয়ান মুল্ডারকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরেন অধিনায়ক রাসি ফন ডার ডুসেন। পঞ্চম উইকেটে ৭৭ রানের জুটি গড়েন তারা।
মুল্ডার ৩৬ রানে ফিরে গেলেও ফিফটি করেন ডুসেন। ৩১ বলে ৫১ রান করেন তিনি। তা সত্ত্বেও ৭ উইকেটে ১৬৩ রানের বেশি করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন ম্যাককয়। এছাড়া দুটি করে শিকার জোসেফ ও মোতির। ৩ ম্যাচ মিলিয়ে ৮ উইকেট পাওয়া মোতি হয়েছেন সিরিজসেরাও।
রান তাড়ায় নেমে তাণ্ডব চালান জনসন চার্লস। অফ ফর্ম নিয়েও তার বিশ্বকাপ দলে থাকার ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছিল অনেক। সেসব দূরে ঠেলে রানে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ২৬ বলে ৯ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে জিতে নেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এছাড়া অধিনায়ক ব্রেন্ডন কিং ২৮ বলে ৪৪ ও কাইল মেয়ার্স ২৩ বলে অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে।