রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছুড়ে দেওয়া ২০৮ রানের লক্ষ্য সহজেই ছোঁয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পাঁচ ওভার শেষ হওয়ার আগেই ওপেনিং জুটিতে ৮১ রান তুলে ফেলে তারা। কিন্তু ওপেনারদের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেটের পতনে হার দেখলো প্রোটিয়ারা। কিংসটনে রোস্টন চেজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর গুডাকেশ মোটির ঘূর্ণিজাদুতে ১৬ রানে জিতে তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ এক ম্যাচ আগেই জিতলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্র্যান্ডন কিং (৩৬) ও কাইল মায়ার্সের (৩২) ব্যাটে এগোতে থাকে উইন্ডিজ। টানা দুই ওভারে নাবায়োমজি পিটারের কাছে উইকেট হারান দুজনেই। ৮৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর স্বাগতিকরা ঘুরে দাঁড়ায় চেজ ও আন্দ্রে ফ্লেচারের ৫৬ রানের জুটিতে।
ফ্লেচার (২৯) ত্রিশের ঘর ছুঁতে পারেননি। রোমারিও শেফার্ডকে নিয়ে আরেকটি পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে দলীয় স্কোর দুইশ পার করেন চেজ। শেষের আগের ওভারে শেফার্ড (২৬) আউট হন। লুঙ্গি এনগিডি শেষ ওভারে জোড়া আঘাত হানলেও চেজ অপ্রতিরোধ্য ছিলেন। ৩৮ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৬৭ রান করেন তিনি।
২০৭ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এনগিডি, পিটার ও অ্যান্ডাইল ফেলুকোয়ায়ো দুটি করে উইকেট পান। লক্ষ্যে নেমে মাত্র ২৫ বলেই দক্ষিণ আফ্রিকা পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলে। কুইন্টন ডি কক ও রিজা হেন্ডরিকস ব্যাটে আগুন ঝরান। স্কোরবোর্ডে ৮১ রান তুলে পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ডি কক বিদায় নেন। আকিল হোসেন তাকে ১৭ বলে ৪১ রানে থামান, চারটি করে চার ও ছয় ছিল ইনিংসে। চার বলের ব্যবধানে হেন্ডরিকস (৩৪) বিদায় নেন ১৮ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ের ইনিংস খেলে। তাকে ফেরান চেজ।
আর কোনও ব্যাটার দুই ওপেনারকে অনুকরণ করতে পারেননি। অধিনায়ক রাসি ফন ডার ডুসেনের (৩০) শেষ প্রতিরোধ ভেঙে দেন মোটি। দুই ওভারে তিন উইকেট নেন তিনি। আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি। টেনেটুনে ৭ উইকেটে ১৯১ রানে থামে প্রোটিয়ারা। চার ওভারে ২২ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন মোটি। ম্যাচসেরা হয়েছেন চেজ।