রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা :
বাঘার সোনাদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এফডিয়ার,সঞ্চয় একাউন্ড তহবিল, টিউশন ফি, অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রতিষ্ঠানের নবায়ন না থাকা , পাঠদানে অনিয়ম ও সরকারি বরাদ্দ পেয়ে স্কুল ঘরের টিন খুলে ফেলা-সহ নানা বিষয়ে স্বেচ্ছাচারিতা এবং অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোদ স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও অভিভাবক সদস্যরা সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তরে এ অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, সাবেক প্রধান শিক্ষক মো: মকবুল হোসেন নবাব গত পাঁচ মাস পুর্বে অবসর জনিত বিদায় নেয়ার প্রাক্কালে অবসর ভাতা উত্তোলন ও কল্যাণ ফান্ডের টাকা উত্তোলনের জন্য স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতির কাছ থেকে কোন স্বাক্ষর গ্রহন করেননি। তিনি তড়ি-ঘড়ি করে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান কে একতরফা ভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বানিয়ে বিদায় গ্রহন করেন।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি তার একক সিদ্ধান্ত এবং স্কুলের সভাপতির সাথে কোন বিষয় আলোচনা না করে নানা স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যদিয়ে বিদালয় পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ঐ প্রতিষ্ঠানের পুরাতন ভবন সংস্কার বাবদ সরকারী ভাবে ১২ লক্ষ টাকা অর্থ বরাদ্দ এলে তিনি একক সিদ্ধানে বিদ্যালয়ে পুরাতন টিন ও অসবাব পত্র খুলে সে গুলো আত্নসাৎ এর উদ্দেশ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ করার অনুমতি দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান দাবি করেছেন, ঘর ভাঙ্গার বিষয়ে একটি মিটিং করেছি। তবে সভাপতি সহ তিনজন অভিভাবক সদস্য খাতায় স্বাক্ষর করেননি। তিনি ব্যাংকের দু’টি হিসাব নম্বরে টাকা না থাকার বিষয়ে পূর্বের প্রধান শিক্ষককে দায়ী করেছেন।
ঐ প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন অভিভাবক স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, আকষ্মিক ভাবে বিদ্যালয়ের টিন খুলে অন্যত্র ঘর না বানানোর কারণে বর্তমানে তিনটি কক্ষে গাদা-গাদি করে পাটদান চলছে। এর ফলে পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। তবে শনিবার (২৫ মে) সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত স্কুল খোলা অবস্থায় সকাল ১১ টায় এ প্রতিবেদক সহ স্থানীয় দুই সাংবাদিক প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করলে চারজন শিক্ষক-সহ কোন শিক্ষার্থীকেই স্কুলে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, একটি বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য সঞ্চয় একাউন্ট এবং এফডিয়ার সরকারী ভাবে বাধ্যতা মূলক হলেও দুই ব্যাংক একাউন্ডে কোন অর্থ নেই। ভারপ্রাপ্ত এবং সাবেক প্রধান শিক্ষক মিলে এই অর্থ আত্নসাত করেছেন। এমনকি সাবেক প্রধান শিক্ষক আমাকে বিদ্যলয়ের আয় ব্যায়ের কোন হিসেব পর্যন্ত দেননি। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে অত্র বিদ্যালয়ে তিনটা শুন্য পদ ফাঁকা হলেও নিয়োগ প্রক্রীয় সম্পন্য করতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নানা অজুহাতে গড়ি-মশি সহ বিলম্ব করছেন।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সানশাইন / শামি