মঙ্গলবার, ২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার:
রাজশাহীর পুঠিয়া ও দুর্গাপুর ও বাগমারায় উপজেলায় শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলার নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ। উপজেলার সকল কেন্দ্রে ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়েছে। (২০মে) সোমবার সকাল এগারটা থেকে প্রিজাইডিং অফিসারের উপস্থিতিতে কেন্দ্রের দায়িত্ব থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জিম্মায় দেওয়া হচ্ছে এসব সরঞ্জাম। তারা সেসব মালামাল নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে কেন্দ্রে। দ্বিতীয় ধাপে পুঠিয়া উপজেলায় সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে ২০৪ জন পুলিশ সদস্য, ৩ প্লাটুন বিজিবি, ১০৮১ জন আনসার সদস্য, ৭ জন ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাবের ২টি টিম দায়িত্ব পালন করবে।
পুঠিয়া উপজেলায় এবার তিনজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রয়েছেন। যাদের মধ্যে জেলা আ’লীগের সাবেক ছাত্র নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বা”চু (মোটরসাইকেল), জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ মোল্লা (আনারস) এবং জেলা আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানা-উল হক মাসুদ ( ঘোড়া) প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পুঠিয়া উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ৭৮। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ৩৩ টি। মোট ভোটার ১ লক্ষ ৮২ হাজার ১জন, মহিলা ভোটার ৯০ হাজার ১৩৬ জন, পুরুষ ভোটার ৯১ হাজার ৮৬২ জন, হিজরা ৩ জন এবং ৭৮ টি ভোট কেন্দ্রে এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
একইদিন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সব রকম প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ভোটের সরঞ্জামাদি। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থেকে এসব সরঞ্জামাদি বুঝে নিয়েছেন। তবে কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি পৌঁছানো হলেও ব্যালট পৌঁছানো হবে মঙ্গলবার সকালে।
সোমবার দুপুর থেকে উপজেলা পরিষদ হলরুম হতে বিতরণ করা হয়েছে এসব সরঞ্জামাদি। প্রতিটি কেন্দ্র প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কেন্দ্র ইনচার্জ উপস্থিত থেকে বুঝে নিয়েছেন ভোটের সরঞ্জামাদি। এরপর পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে নির্ধারিত কেন্দ্রে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হবে। এবার এই উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে ব্যালটে।
এই উপজেলায় এবার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন, ভাইস (পুরুষ) চেয়ারম্যান পদে তিন জন ও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোসাদ্দেক সরকার জিন্নাহ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এই পদে এখন দুইজন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামাণিক জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তায় র্যাব, পুলিশ, আনসার ভিডিপির সদস্য ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। এই নির্বাচনে এবার মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬৭টি। আর ভোটার রয়েছেন এক লাখ ৫৯ হাজার ৯৩৩ জন। এরমধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন একজন।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সরদার (ঘোড়া প্রতীক) ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শরীফুজ্জামান শরিফ (মোটরসাইকেল প্রতীক)। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুল কাদের মন্ডল (টিওবয়েল প্রতীক), শামীম ফিরোজ (তালা) প্রতীক ও মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ (টিয়া পাখি প্রতীক) নিয়ে লড়ছেন। অপরদিকে, সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বানেছা বেগম (ফুটবল প্রতীক) ও কোহিনুর বেগম (কলস প্রতীক) লড়ছেন।
একইদিন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ০৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ০৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উল্লেখ্য সাবেক চেয়ারম্যান সান্টু ঘোড়া মার্কা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। অপর দিকে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোন প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারি ভাবে শহিদুল ইসলাম শহিদ নির্বাচিত হয়েছেন।
এই উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র ১২২ টি। ভোটার কক্ষের সংখ্যা ৬৯৮। অস্থায়ী কেন্দ্র ৪৯ টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৩১০৯৭৪ জন। পুরুষ ভোটার ১৫৬৫৮২ জন ও নারী ভোটার ১৫৪৩৮৯ জন এবং হিজড়া ভোটার সংখ্যা তিন জন বলে জানা গেছে।
সানশাইন / শামি