শনিবার, ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রতিটি শাখাকে তিন হাজার করে তাল গাছ লাগানোর জন্য নির্দেশনা দেন গ্রামীন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম সাইফুল মজিদ। শনিবার সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এই নির্দেশনা দেন তিনি।
গ্রামীণ ব্যাংক রাজশাহী জোনের সকলস্তরের কর্মীদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গ্রামীণ ব্যাংকের ৮২ শাখার ৭৫০ মাঠ কর্মী অংশ নেন।
জোনাল ম্যানেজার আ ক ম শামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, গ্রামীন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম সাইফুল মজিদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর মোহাম্মদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার সাহা, মহাব্যবস্থাপক আবু হায়াত আব্দুল মোত্তালিবম, রাজশাহী জোনাল অডিট অফিসার মনিরুজ্জামান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এরিয়া ম্যানেজার আব্দুল ওয়াদুদ সরকার।
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে গ্রামীণ ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়ে অধ্যাপক ডা. এ কে এম সাইফুল মজিদ বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের অর্জন বাড়াতে হবে। এতো দিন যে পরিশ্রাম আপনারা দিয়ে গ্রামীণ ব্যংককে এ জায়গায় নিয়ে এসেছেন তার ফল আপনারা পাবেন।
সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পেনশন নিয়ে আপনারা কেউ টেনশন করবেন না, দুঃশচিন্তা করবেন না। ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী সবাই পেনশন পাবেন। ব্যাংক যতো এগিয়ে যাবে আপনাদের সুযোগ সুবিধা ততোই বাড়বে। তাই আপনারা ব্যাংককে এগিয়ে নিতে কাজ করুন।
অধ্যাপক ডা. এ কে এম সাইফুল মজিদ বলেন, রাজশাহীতে আমার বাল্যকাল কেটেছে। আমি রাজশাহীতে লেখাপড়া করেছি। আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই রাজশাহীতে। রাজশাহীর কথা শুনলেই দুর্বল হয়ে যায়। রাজশাহীর মানুষজন খুবই ভালো বলে মন্তব্য করেছেন গ্রামীন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম সাইফুল মজিদ।
অতিথির বক্তব্যে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর মোহাম্মদ কর্মীদের বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতি সরকারপ্রধান এবং সরকারের সর্বোচ্চ সহযোগিতা আছে। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। আর আমাদের সদস্যের মাথায় ঋণের বোঝা চাপানো যাবে না। সদস্যের সংখ্যা বাড়াতে সবাইকে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে হলেও কেউ কোনও অনিয়মে জড়াবেন না। সবাইকে ব্যাংকের নিময় নিতি অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এর বাইরে গিয়ে কোনোভাবেই কাজ করা যাবে না। এবং রাজশাহী যোনের বিগত দিনের যে অনিয়ম তা থেকে বেরিয়ে এসে সামনের দিনে রাজশাহী যোনকে গ্রামীণ ব্যাংকের ১ থেকে ৫ নাম্বার যোনের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।