শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: লর্কান টাকারের ঝড়ো ফিফটিতে ভালো পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড। তবে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমের দারুণ ব্যাটিংয়ে সেই পুঁজি সহজেই উতরে যায় পাকিস্তান। দুজনেই করেন পঞ্চাশোর্ধ রান। দলকে জেতান সিরিজও।
তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আইরিশদের ৬ উইকেটে হারায় পাকিস্তান। ডাবলিনে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। জবাব দিতে নেমে ১৮ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। সঙ্গে তারা সিরিজও জেতে ২-১ ব্যবধানে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারেই রস অ্যাডায়ারকে হারায় আয়ারল্যান্ড। সেই ধাক্কা সামলে দলকে টানেন অ্যান্ডি বালবার্নি ও টাকার। দুজনের জুটি পঞ্চাশ স্পর্শ করে ২৭ বলে। টাকার ফিফটি তুলে নেন ২৯ বলে। বালবার্নিকে (২৬ বলে ৩৫) ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু ভাঙেন আব্বাস আফ্রিদি। এরপর দ্রুত উইকেট হারান টাকারও। ৪১ বলে ১৩ চার ও এক ছক্কায় ৭৩ রানের ইনিংস খেলে যান তিনি।
টাকারের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আয়ারল্যান্ড। বাকিদের আসা যাওয়ার মাঝে শেষ পর্যন্ত লড়ে যান হ্যারি টেক্টর। ২০ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪ ওভারে স্রেফ ১৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।
রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই সাইম আইয়ুবকে (১৪) হারায় পাকিস্তান। এরপর দলের হাল ধরেন বাবর ও রিজওয়ান। রিজওয়ান ফিফটি করেন ৩০ বলে, বাবরের লাগে ৩১ বল। ১৩৯ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান তারা। ৫৬ রানে রিজওয়ান ফিরলে ভাঙে জুটি। ৩৮ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি।
দারুণ ব্যাট করেও ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি বাবর। ৫ ছক্কা ও ৬ চারে ৪২ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। বাকি কাজ শেষ করেন আজম খান। ৬ বলে ১৮ রানের ক্যামিওতে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটার।