সর্বশেষ সংবাদ :

প্রকৃতি হারিয়েছে প্রতিরোধ শক্তি

স্টাফ রিপোর্টার: একটি গাছের কান্ড মরে গেলে সম্পূর্ণ গাছই মারা যায়। পাতা থেকে শুরু করে ডালগুলো শুকিয়ে যেতে থাকে। পদ্মা নদীর চিত্রও তাই। ফারাক্কার প্রভাবে শুষ্ক মৌসুমে পদ্মার আয়তন অর্ধেকে নেমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে গভীরতা ও প্রবাহ। যেখানে মুল প্রবাহের অবস্থা এতোই খারাপ সেখানে শাখা-প্রশাখাগুলো তাদের অস্তিত্ব হারাবে এটাই নিয়ম। ঘটেছেও তাই। যার প্রভাব দিনে দিনে তাপদাহ ও খরা ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে। খরা আর তাপদাহে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের যে সীমান্ত দিয়ে পদ্মা নদী দেশে প্রবেশ করেছে তা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গা নদীর ওপর ফারাক্কা বাঁধ অবস্থিত। ১৯৬১ সালে গঙ্গা নদীর ওপর এই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণ সম্পন্ন হয় ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে। ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল বাঁধটি চালু হয়। মুলত ওই বাঁধ নির্মানের পর থেকেই পদ্মা নদী বহুমুখি ক্ষতির মুখে পড়তে শুরু করে।
পদ্মার প্রকৃত অবস্থা বুঝতেই একদল গবেষক শুকনো মৌসুমকে বেছে নিয়ে তাদের গবেষনা চালায়। সেই গবেষণায় দেখা যায় যে, ১৯৮৪ সালে শুষ্ক মৌসুমে পদ্মা নদীর যে পরিমান আয়তন ছিলো তা অর্ধেকে নেমে গেছে। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতও কমেছে। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১৯ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে পদ্মা অববাহিকায়। একই সঙ্গে বেড়েছে তাপমাত্রা। ১৯৮১ সালে যেখানে তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৯ সালে তা ০১ দশমিক ০১ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রিতে।
শুধু তাই না, ফারাক্কা বাঁধ চালুর আগে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত পদ্মায় প্রতি সেকেন্ডে পানি প্রবাহিত হতো ৯ হাজার ৩২ ঘনমিটার। কিন্তু নদীর বুকে বাঁধ পড়ার পরে ১৯৭৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রবাহ নেমেছে ৫ হাজার ১৪৬ ঘনমিটারে। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড কনজারভেশন’ ২০২৩ সালের জানুয়ারি সংখ্যায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ফারাক্কার কারণে পদ্মা নদীর সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাব পড়েছে শাখা ও উপশাখা নদীগুলো। অসংখ্য শাখা ও উপশাখা নদী ইতোমধ্যেই শুকিয়ে গেছে আবার অনেক শাখা ও উপশাখা নদী এখন মৃতপ্রায়। আবার কিছু নদীর সংযোগ পদ্মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এসব নদীগুলো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিস্তৃত হয়ে আছে। সে কারণে এ অঞ্চলে আবহাওয়ার ভয়ঙ্কর রূপ প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।
বাংলা পিডিয়ায় মাসুদ হাসান চৌধুরী এবং মো. মাহবুব মোর্শেদের লেখা ‘পদ্মা-গঙ্গার নদী প্রনালী’ আটিকেল থেকে জানা যায় দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলে কিভাবে জালের মতো বিস্তৃত হয়ে আছে পদ্মা ও তার শাখা ও উপশাখা নদীগুলো।
পদ্মা নদীর প্রধান উপনদী মহানন্দা। নদীটি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্ত এলাকা ও পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে দেশে প্রবেশ করে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাছে পদ্মার সঙ্গে মিলিত হয়। মহানন্দা নদীর উপনদী নাগর, টাংগন ও পুনর্ভবা। টংগন নদী রুহিয়া, ঠাকুরগাঁও ও পীরগঞ্জ হয়ে দিনাজপুর জেলার বিরল পর্যন্ত বিস্তৃত। পুনর্ভবা নদী উৎপত্তিস্থল দিনাজপুরের বিওলাইয়ের জলাভূমি। এটি করতোয়া নদীর শাখা দ্বেপা নদীতে গিয়ে মিলিত হয়। পরে মহানন্দায় পতিত হয়েছে।
বড়াল নদী রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার কাছে প্রবেশ করে পাবনার আটঘড়িয়ার কাছে দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। মূল স্রোত নন্দনকুজা নামে বহমান। নন্দনকুজা চানকোরের কাছে গুর নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এ মিলিত স্রোত গুমানি নামে পরিচিত। গুমানি চাটমোহরের কাছে আবার বড়াল নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে আত্রাই-করতোয়ার সঙ্গে মিশেছে। ইছামতী নদী পদ্মার অপর একটি শাখা নদী। এটি পাবনা শহরের দক্ষিণে পদ্মা থেকে বের হয়ে পাবনা শহরকে দু’ভাগ করে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে বেড়া থানার পাশ দিয়ে প্রবাহিত।
পদ্মার শাখা নদীগুলির অন্যতম ভৈরব, মাথাভাঙ্গা, গড়াই-মধুমতি, বলেশ্বর। ভৈরব নদী পদ্মার অপর একটি শাখানদী। ৈ ভৈরব নদী বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, নড়াইল, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলায় অবস্থিত অন্যতম নদী। এক সময়ে ভৈরব গভীর এবং খরস্রোতা ছিল। চলার পথে ভৈরব বহু নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। নদীটির উল্লেখযোগ্য দুটি শাখা হচ্ছে ইছামতি ও কপোতাক্ষ। বর্তমানে বর্ষায় এই নদীতে পদ্মার পানি প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু শুকনা মৌসুমে শুকিয়ে যায়। স্থানীয় বৃষ্টি এবং নিম্নাঞ্চলের চুয়ানো পানি নদীর একমাত্র উৎস।
মাথাভাঙ্গা নদী কুষ্টিয়া জেলার ইনসাফনগর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারপর চুয়াডাঙ্গার নিকট পুনরায় ভারতে প্রবেশ করে। সেখানে চূর্ণ নদীর সঙ্গে মিলে ভাগীরথীতে পড়েছে। বাংলাদেশের মধ্যে এ নদীর দৈর্ঘ্য ১৩০ কিমি। চিত্রা, নবগঙ্গা, কুমার ইত্যাদি মাথাভাঙ্গার শাখানদী।
চুয়াডাঙ্গা ও দর্শনার মধ্যবর্তী নিম্নাঞ্চলে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে চিত্রা নদীর উৎপত্তি। অতঃপর চিত্রা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে দর্শনার পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গাজীরহাটে নবগঙ্গার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। পরবর্তীতে এ মিলিত স্রোত খুলনার দৌলতপুরের নিকট ভৈরব নদীতে পড়েছে। বেগবতী নদী চিত্রার একটি উপনদী। নবগঙ্গা নদী চুয়াডাঙ্গা শহরের কাছে মাথাভাঙ্গা থেকে উৎপন্ন হওয়ার পর ঝিনাইদহ জেলা অতিক্রম করে মাগুরার নিকট কুমার নদীতে পতিত হয়েছে।
কুমার নদী চুয়াডাঙ্গা জেলার হাটবোয়ালিয়ায় মাথাভাঙ্গা থেকে কুমার নদীর উৎপত্তি। এ নদী নবগঙ্গার প্রায় সমান্তরালে প্রবাহিত হয়ে মাগুরা জেলা সদরের কাছে নবগঙ্গার সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
গঙ্গার প্রধান শাখানদী গড়াই নদী কুষ্টিয়া জেলার তালবাড়ীয়ায় পদ্মা থেকে উৎপন্ন। এটি কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, রাজবাড়ী ও মাগুরা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মাগুরা জেলার কচুয়া থেকে মধুমতি নাম ধারণ করেছে। অতঃপর দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে বাগেরহাট জেলার মধ্য দিয়ে এবং পিরোজপুর জেলার পাশ দিয়ে বলেশ্বর নামে এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়ে মোহনার কাছে হরিণঘাটা নাম নিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
এ নদীর অপর একটি অংশ আঠারোবাঁকী নামে দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রবাহিত হয়ে কাটাখালের মাধ্যমে রূপসা নদীতে পতিত হয়েছে। রূপসা দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে এক ভাগ মংলা বন্দরের নিকট থেকে পসুর নাম নিয়ে এবং অন্য ভাগ শিবসা নামে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
আড়িয়াল খাঁ পদ্মা নদী থেকে নির্গত শাখা নদী। গোয়ালন্দ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে পদ্মা নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে ফরিদপুর ও মাদারীপুরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এরপরে বরিশাল জেলার উত্তর-পূর্ব কোণে তেঁতুলিয়া নাম ধারণ করে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। আড়িয়াল খাঁর একটি শাখা শায়েস্তাবাদের কাছ থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত মেঘনার অপর এক ধারা শাহবাজপুর চ্যানেলের সঙ্গে মিলিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। আড়িয়াল খাঁর অপর একটি শাখা কীর্তনখোলা নামে বরিশাল শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নলছিটি পর্যন্ত প্রবাহমান। পরবর্তীকালে এ নদীর প্রবাহ বিভিন্ন নামে হরিণঘাটায় বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। এ ছাড়াও আড়িয়াল খাঁ নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে বুড়িশ্বর ও আধাঁরমানিক নদী পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
এসব নদীরও আবার অসংখ্য শাখা নদী আছে। যেগুলো পুরো দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলকে জালের মতো বিস্তৃত হয়ে আছে। কিন্তু ফারাক্কার কারণে পদ্মায় যেখানে মৃত সেখানে তার থেকে জন্ম নেয়া নদীগুলোতে পানির সরবরাহ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।
শুষ্ক মৌসুমে পদ্মাসহ এসব নদী শুকিয়ে যাওয়ার কারণে নদীগুলোর বুকে চর পড়ে। যার কারণে এ অঞ্চলের আবহাওয়ায় একটি বিরুপ প্রভাব তৈরি হয়েছে।
ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বছরের এই সময়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে বরাবরই অসহনীয় তাপমাত্রা বিরাজ করে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্থানেই মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে সূর্যের অবস্থান অন্য যেকোন মাসের চেয়ে কাছাকাছি হয়। বিশেষ করে এপ্রিল মাসে সূর্য থেকে বাংলাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের অবস্থান বছরের যে কোন সময়ের চেয়ে কাছাকাছি থাকে। যার কারণে সূর্যের তাপ বেশি পড়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। ভৌগলিক কারণে এমনটি হয়। কিন্তু এ অঞ্চলে পদ্মাসহ নদ-নদীগুলো মরে যাওয়ার কারণে খরা ও তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিরোধ ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছে। এ কারণেই তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে। আগামীতে আরো ভয়াববহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ি, ৩০ এপ্রিল যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই দিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিনই রাজশাহীর তাপমাত্রা ৫২ বছরের রেকর্ড ভেঙে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল।
আবহাওয়াবিদরা জানান, জলবায়ু সংক্রান্ত রেকর্ড থেকে বোঝা যায়, গত কয়েক দশক ধরেই বাংলাদেশে উষ্ণতার মাত্রা ও এর স্থায়িত্ব বাড়ছে। বিশেষ করে রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি।
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর আমজাদ হোসেন (৭০)। জীবনের বেশিরভাগ সময় পদ্মায় মাছ শিকার করে কাটালেও এখন জীবিকার তাগিদে সবজি বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, নদীর পাড়েই তার বাড়ি। দাদার আমল থেকে মাছ ধরাই তার পেশা ছিল। আগে সারা বছরই পদ্মায় পানি থাকতো। মাছ হতো অনেক। কিন্তু এখন শুধু বর্ষার সময় পানি থাকে। অন্য সময় চর পড়ে। এখন মাছ ধরা তো দুরের কথা গরমের সময় পদ্মা পাড়ে থাকা যায় না। সূর্যের তাপ চরে পড়ে আরো উত্তাপ ছড়ায়। বালু তাঁতানো বাতাস শরীরে লাগে। মনে হয় যেন শরীর পুড়ে যায়।
নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পিন্টু কানুনগোয় বলেন, এটা একটি জটিল সমস্যা। ফারাক্কার কারণে তো পদ্মার প্রবাহ কমেছে। আরো কয়েক স্থানে পানি প্রবাহ ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা একটি অনেক বড় ঘাটতি। নদীগুলো শুকিয়ে যাওয়ার কারণে নানান ধরনের বিরুপ প্রভাব দেখা দিয়েছে।
সংকট সমাধানে তিনি বলেন, উজানে যেহেতু বাঁধ আছে তাই প্রাকৃতিকভাবে নদীগুলোতে পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। এবং প্রকৃতিকভাবে সারা বছর নদীগুলোতে পানি রাখা সম্ভব নয়। আমাদের অন্যভাবে চিন্তা করতে হবে। নদীগুলোতে সারা বছর পানি ধরে রাখতে মহা পরিকল্পনা প্রয়োজন। তা না হলে পদ্মা ও পদ্মার শাখা নদীগুলোর অববাহিকাগুলোতে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। ভরাট হয়ে যাওয়া নদীগুলো খননের জন্য আমাদের যন্ত্রপাতি নেই। অন্যদিকে আরো একটি সমস্যা হচ্ছে অর্থের যোগান। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও অর্থের যোগান পেলে নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে নিজস্বভাবে সারা বছর পানি ধরে রাখা সম্ভব।


প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৪ | সময়: ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ