ই-পেপার
সর্বশেষ সংবাদ :

নগরীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দাওয়াতে বসনিয়ার ‘বসনিয়া রুটি’

স্টাফ রিপোর্টার: রুটিটি বসনিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। খেতে বেশ তুলতুলে ও অসাধারণ স্বাদ হওয়ার কারণে রুটিটি সারা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে পড়ে। এখন বিভিন্ন দেশে এ ‘বসনিয়া রুটি’ জনপ্রিয়। দেশেও রুটিটি ভোজন রসিকদের পাতে জায়গা করে নিতে শুরু করেছে। রাজশাহী মহানগরীতেও ‘বসনিয়া রুটি’ মিলছে দাওয়াতে বসনিয়াতে।
উপশহর মোড় থেকে উপশহর নিউ মার্কেটের দিকে (পশ্চিমে) ৫০ মিটার এগুলেই ফুটপাতের উপরেই মিলবে ‘দাওয়াতে বসনিয়া’ খারাবের দোকানটিতে। খাবারের দোকানটি দিয়েছেন মেহনাজ পারভিন শাপলা। বসনিয়া রুটির পাশাপাশি শাপলার খাবারের দোকানটিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পেঁয়াজি, আলুর চপ, ডিমের চপ, চিকেন ফ্রাই, চটপটি। সন্ধ্যার পরেই দোকানটিতে ভিড় জমতে শুরু করে ভোজন রসিকদের।
মেহনাজ পারভিন শাপলা জানান, আমরা সাধারণত আটা রুটি, চালের রুটি, তন্দুর ও নান রুটির সাথে সুপরিচিত। কিন্তু এই রুটিগুলো বাদেও আরেকটি রুটি আছে যার নাম বসনিয়ান রুটি। সাধারণত বসনিয়ানরা এই রুটিটি বানিয়ে থাকেন বলেই এর নামকরণটি এমন। রুটিটি তেলে ভেজে তৈরি করা হয়।
শাপলা জানান, তার স্বামী সেনাবাহিনীতে চাকুরি করতেন। সেই সময় সেনাবাহিনীতে তারা এ রুটিটি খেতেন। রুটিটির স্বাদ বেশ ভালো হওয়ার কারণে চাকুরি শেষেও বাড়িতে প্রায় সময় তা বানিয়ে খেতেন।
শাপলার স্বামী ইসমাইল হোসেন জানান, সেনাবাহিনীর চাকুরি শেষে তিনি রাজশাহী আরডিএ মার্কেটে কাপড়ের দোকান দিয়েছিলেন। কিন্তু করোনার সময় তিনি লোকসানের মুখে পড়েন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলেটি একটি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন। অপরদিকে মেয়েটি এইচএসসি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া ঠিক রাখতে তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছিল।
শাপলা জানান, সংসারে ভালো ও খারাপ দুইটি অবস্থাই থাকে। কোন কারণেই হোক তাদের সময় খারাপ চলছে। এই খারাপ সময়ে পরিবারকে সহযোগিতা করতেই তিনি এ উদ্যোগ নিয়েছেন। খারাবের দোকনটি দেয়ার সময় প্রথমেই তার মাথায় আসে যে তিনি ‘বসনিয়া রুটি’ নিয়ে ব্যবসায় নামবেন। রুটিটি রাজশাহীর আর কোথাও বিক্রি হয় কি না তা তার জানা নেই। তবে রাজশাহীতে সচারচর মিলবে না এ রুটিটি। প্রথমে সপ্তাহে এক দিন (বৃহস্পতিবার) রুটিটি তৈরি করার চিন্তা করেন তিনি। ধিরে ধিরে মানুষের মধ্যে চাহিদা বাড়ে। এখন সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও সোমবার রুটিটি তৈরি করছেন তিনি।
দাওয়াতে বসনিয়ায় ভিন্ন স্বাদের রুটিটি খেতে মানুষের বেশ আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। দিনে দিনে রুটিটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। রুটিটি এক পিচের দাম ৩০ টাকা। ডালের সঙ্গে ৫০ টাকা। আর রুটিটি স্বাদ বাড়িয়ে দেয় গরু মাংস। বসনিয়াতেও মাংসের সঙ্গে রুটিটি জনপ্রিয় বেশি। সেই কথা মাথায় রেখে শাপলা তার দোকানেও রুটির সঙ্গে মাংসের আয়োজন করে। দোকানে মাংসের সঙ্গে রুটি মিলবে ১০০ টাকায়।
শাপলা বলেন, রুটিটি ধিরে ধিরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অল্প দিনের মধ্যেই রুটিটি প্রতিদিনই তৈরি করা হবে।


প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৪ | সময়: ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ