রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি: পাবনার ঈশ্বরদীতে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে খাইরুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও প্রায় ৩০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত খাইরুল ইসলাম চরগড়গড়ী আলহাজ্ব মোড় পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত নসিম প্রামাণিকের ছেলে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাদের ঈশ্বরদী, পাবনা ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েক জনের নাম জানা গেছে, তারা হলেন- সাজু হুদী (৫০), জামাত ফকির (৫০), নাসির উদ্দিন (৩০), জিল্লুর (৩৩), ওলিউর রহমান (৩৫), মজিদ (৩৮), ইছাই প্রামানিক (৩৬), মিঠুন (৩৫), মোসলেম উদ্দিন (৬০), মানু প্রামানিক (৫৫), খোকন প্রামাণিক (৩৫), নুর বেগম (৫০)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, বেশ কয়েকদিন আগে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চরগড়গড়ী মোড়ের হুজুর আলী মন্ডল এবং মজনু গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। সেই ঘটনায় গত দুই দিনে উভয় গ্রুপের মধ্যে আবারও ছোটো খাটো মারামারির ঘটনা ঘটে। এসব বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম্য প্রধান ও ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম উদ্যোগ নিয়ে গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় উভয় পক্ষকে একত্রে বসিয়ে মারামারির বিষয়টি মিমাংশা করে দেন।
শুক্রবার বিকালে হুজুর আলী গ্রুপের জামাত ফকির মজনু গ্রুপের এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় মজনু গ্রুপের সদস্যরা তাকে এলোপাথারী মারপিট করে গুরুতর আহত করে ভ্যানে করে পাঠিয়ে দেয়। এই ঘটনায় হুজুর আলী গ্রুপের সদস্যরা একত্রিত হয়ে বিভিন্ন লাঠিসোটা নিয়ে এগিয়ে এলে উভয় গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
খবর পেয়ে গ্রাম্য প্রধান খায়রুল ইসলাম এগিয়ে এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করলে মজনু গ্রুপের সদস্যদের দেশীয় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সে সময় গুরুতর আহত খাইরুলকে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফকুল ইসলাম জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।