রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: ভারতীয় নৌবাহিনী সোমালিয়ার জলদস্যুদের ছিনতাই করা মাল্টার পতাকাবাহী একটি জাহাজে হস্তক্ষেপ করে সেখানে থাকা সব দস্যুকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে। শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ওই মুখপাত্র জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর সোমালিয়ার জলদস্যুরা এমভি রুয়েন নামের সাবেক পণ্যবাহী ওই জাহাজটি ছিনতাই করে, তারপর থেকে তারা এটিকে জলদস্যুতার ‘কাজে ব্যবহার করছে’। শুক্রবার ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ ছিনতাই করা ওই জাহাজটির পথরোধ করে। এ সময় নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার জাহাজটি কাছাকাছি গেলে এক সোমালি জলদস্যু সেটি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে, ভারতীয় নৌবাহিনীর শেয়ার করা এক ভিডিওতে এমনটি দেখা গেছে।
আট সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যায়, এক জলদস্যু হেঁটে ডেকে এসে ছিনতাইকৃত জাহাজটির উপরে উড়তে থাকা একটি হেলিকপ্টারের দিকে রাইফেল তাক করে গুলি ছুড়ছে, দুইবার গুলি ছোড়ে সে।
ভারতীয় নৌবাহিনী ওই জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে আর জাহাজটি ও কোনো বেসামরিক তাদের হাতে আটক থাকলে তাদের ছেড়ে দিতে বলেছে।
বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী বলেছে, চলতি সপ্তাহে সোমালিয়ার উপকূলের অদূরে বাংলাদেশের পতাকাবাহী পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সময় জলদস্যুরা সম্ভবত তাদের ছিনতাই করা জাহাজ রুয়েনকে ব্যবহার করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, তারা এখন আত্মরক্ষামূলক অবস্থান নিয়ে সোমালি জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের জন্য চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
তারা আন্তর্জাতিক আইন মেনে জলদস্যুতা বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে বলে বাহিনীটি জানিয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমালি জলদস্যুদের হাতে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থেকে পাওয়া এসওএসে ভারতীয় নৌবাহিনী বৃহস্পতিবার সাড়া দিয়েছিল, এর একদিন পর এ ঘটনাটি ঘটেছে।
মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরের সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ নাবিকের সবাইকে জিম্মি করে।