মঙ্গলবার, ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
মনিরুল ইসলাম, বেরোবি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা ১৫ বছরের হলেও এখনো হয়নি কোনো অডিটোরিয়াম। ক্যাম্পাসের বেশিরভাগ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে হয় লাইব্রেরি থেকে ১০০ মিটার দুরত্বে অবস্থিত ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গনে। এতে অনুষ্ঠান চলাকালীন বাদ্যযন্ত্রের উচ্চশব্দে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে।
৭৫ একর ভূমির আয়োতনে গড়ে তোলা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ রয়েছে ২২টি। একাডেমিক অবকাঠামো ঠিকঠাক থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আজও গড়ে তোলা যায়নি কোনো অডিটোরিয়াম। এ কারণে বেশিরভাগ বিভাগের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গনে। ক্যাফেটেরিয়া থেকে ১০০ মিটার দুরত্বে রয়েছে সেন্ট্রাল লাইব্রেরি, পাশেই আবাসিক হল। বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বাদ্যযন্ত্রের উচ্চশব্দে অসুবিধার সম্মুখীন হয় হলের শিক্ষার্থী ও লাইব্রেরিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও হল সংলগ্ন মাঠে বছরের বেশিরভাগ সময় চলে বিভিন্ন বিভাগের ক্রিড়া সপ্তাহ। এতে হলের শিক্ষার্থী এবং লাইব্রেরিতে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় মাইকের ধারাভাষ্য ও দর্শকদের চিল্লাচিল্লির শব্দ। খেলা চলাকালীন হলের শিক্ষার্থীদের সারাদিন যায় কোলাহলের মধ্যে।
হল মাঠে বিভিন্ন বিভাগের খেলা বন্ধের ও দ্রুত অডিটোরিয়াম নির্মাণের দাবি জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিশৃঙ্খল পরিকল্পনার কড়া সমালোচনাও করতে দেখা যায় কাউকে।
পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের ১১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে ছেলেমেয়েদের চিল্লাচিল্লিতে আমাদের ঘুম ভাঙ্গে। সারাদিন জুড়ে থেমে থেমে আওয়াজ আসতেই থাকে। আমাদের পড়তে অসুবিধে হয়।
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী গোলাম জাকারিয়া বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এখন আর সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের নেই, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফুলবল মাঠে চলে ধারাভাষ্য, ডিপার্টমেন্টের সামনে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে পিকনিক হয়, ক্যাফেটেরিয়ার সামনে বিকাল থেকে মাঝ রাত পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয় এখন হয়েছে গান বাজনা কেন্দ্র অথচ ক্যাফেটেরিয়া থেকে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির দূরত্ব ১০০ মিটার এবং হলের দুরত্ব ২০০ মিটার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বহিরাঙ্গন বিভাগের সাথে আলোচনা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের অনুষ্ঠান দ্রুত ক্যাফেটেরিয়া থেকে সরিয়ে স্মারকমাঠে আয়োজনের পরিকল্পনা চলছে।