শুক্রবার, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: বিপিএলে শুরুটা দারুণ হয়েছিল ফরচুন বরিশালের। প্রথম ম্যাচে তারা হারায় রংপুর রাইডার্সকে। কিন্তু এরপর থেকেই ছন্দপতন দলটির। টানা তিন ম্যাচে হেরেছে তারা। বরিশালে এবার তারকার মেলা। দেশের সবেচেয়ে বড় তারকাদের তিনজন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল আছেন দলটিতে।
আছেন মেহেদী হাসান মিরাজের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও। তবুও বরিশাল কেন পারছে না? মিরাজ বলছেন, ব্যাটিং নয় তারা ম্যাচ হারছেন বোলিংয়ের জন্য। দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ১৮৭ রান করেও হারে বরিশাল। পরের ম্যাচে ১৬১ ও সবশেষ শনিবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ১৯৩ রান করে তারা। এ অবস্থায় বোলারদের দায়ই দেখছেন মিরাজ। বলছেন, শেষ পাঁচ ওভারে ভালো বোলার না থাকায় ভুগতে হচ্ছে তাদের।
মিরাজ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি খেলায় বোলাররা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে শেষ পাঁচ ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যে ম্যাচগুলো হেরেছি, বেশিরভাগ কিন্তু আমরা রান দিয়েই হেরেছি। ব্যাটারদের দোষের জন্য হারিনি। ’ ‘টি-টোয়েন্টি খেলায় অনেক সময় পরিস্থিতি এমন আসে। বোলার কতটুকু প্রস্তুতি নিচ্ছে এক্সিকিউট করার জন্য। শেষের দিকে তো ব্যাটার প্রতি বলেই হিট করবে। ওখানে আউটও হতে পারে, চার-ছক্কাও হতে পারে। বোলাররা নিজেদের কিভাবে মেলে ধরছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো আমাদের বোলাররা সেটা ঠিকভাবে পারছে না। ’
শনিবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স আগে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান করে। ওই রান তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৮৩ রান করে বরিশাল। এ ম্যাচে শুরুর ৬ ওভারে ৬০ রান তুলে নিয়েছিল তারা। তবুও কেন হারলো?
মিরাজ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বেশি রান তাড়া করতে গেলে প্রত্যেক ওভারে রান রেট ঠিক রাখতে হবে। আমরা ১৯৪ রান তাড়া করতে নেমেছি, প্রায় সাড়ে ৯ করে লাগে ওভারে। তো এখানে (টি-টোয়েন্টিতে) কিন্তু কোন ওভারে রিল্যাক্সে খেলা যাবে না। প্রথম ৬ ওভারে আমরা যেভাবে খেলেছিলাম, ২০ ওভার পর্যন্ত ঠিক ওভাবেই খেলতে হবে। এভাবে না খেললে তো রান-রেট বেড়ে যাবে। ’
‘ওরা মাঝখানে দুটি ওভার ভালো বোলিং করেছে। ওখানে আমাদের তিনটা উইকেটে চলে গেছে। ফলে উইকেটও পড়েছে, আমাদের রান রেটের চাহিদাও বেড়েছে। একটা সময়ে আমাদের ১৪ করে রান লাগছিল। সেটা যদি ১০-১১ বা এর কাছাকাছি থাকত, তাহলে হয়তো আমাদের জন্য সহজ হতো। ’