সোমবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
বিনোদন ডেস্ক :
আসছে ফাল্গুন। এবারের শীতটা জেঁকে বসেছে। গাছে গাছে এখনো পুরনো পাতা ঝরছে। যা কিনা আবার নবপল্লবে রূপান্তর হবে বসন্তে। তাই সেই সময় প্রকৃতির সাথে সাথে আমরাও নেই নতুন রূপ। বাসন্তি রঙে রোদের মত জ্বলে ওঠে কপোত কপোতিরা, আর প্রেমিকযুগল। রাজশাহীর ইউনিভার্সিটি, আর পদ্মার পাড় হয়ে ওঠে নবদম্পতি আর যুবক যুবতীদের ভিড়। হলুদ বাসন্তি রঙে যেন রঙ্গীন হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
এসময়ে কেমন ধরনের কাপড় পড়া উচিৎ, সেই প্রশ্নের জবাবে পুনশ্চঃ ব্র্যান্ডের ডিজাইনার সিজান সজল বলেন, “বাংলাদেশে ফাল্গুনের সময়ে হলুদ, বাসন্তী, গেরুয়া রঙের পোশাক পড়ার প্রচলন তো অনেক আগে থেকেই আছে। কিন্তু ভ্যালেন্টাইন ডে’র সাথে মিল রেখে এখন আবার যুক্ত হয়েছে লাল রঙ। তাই হলুদ, গেরুয়া, আর লাল সবই এখন যুক্ত হয়েছে ফাল্গুনের রঙয়ের সাথে।”
যদিও দুটি ভিন্ন সংস্কৃতি একত্রে মিশে গেছে পাশাপাশি স্রোতে, তবুও বাংলাদেশে ফাল্গুনে এখন বাসন্তি আর লাল দুই রঙয়েরই মিশ্রণে চলছে। বাসন্তি কিছু ক্ষেত্রে বৈরাগ্যের রঙ। শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্ট হিমু চরিত্র তাই সবসময় এই রঙয়ের পাঞ্জাবী পড়ত। যার কোন পকেট ছিল না।
অন্যদিকে লাল হচ্ছে ভালোবাসার রঙ। আবেগের রঙ। এখন ভালোবাসা দিবসের রঙয়ে তাই মিলে গেছে ফাগুনের রঙ।
এই দুই বিরোধী চরিত্রের রঙয়ে এখন মিশে গেছে বাঙ্গালীর পহেলা ফাল্গুন। তাই গাঁদা, পলাশ, শিমুলের পাশাপাশি গোলাপ আর রজনীগন্ধাও এখন ফাল্গুনের সময় শোভা পায় তরুণীদের মাথায়। তাই এই বসন্তে প্রিয়জন কেউ থাকুক আর না-ই থাকুক, রঙ্গিন হোন বসন্তের রঙয়ে।
ছবিঃ পুনশচঃ
মডেলঃ বৃষ্টি, তৌহি, জাহেদ, ডিজাইনঃ সিজান সজল, ফটোগ্রাফীঃ জিতু।
লেখক: মুহতাশিমুর রহমান
সানশাইন / শামি