সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এমপ্লয়মেন্ট স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের ল্যাবে ‘জয় ঝঊঞ ঈবহঃবৎ ; জয় স্মার্ট সার্ভিস এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২৫ জানুয়ারি) বিকেলে নগর ভবনের ১০ তলায় ফলক উন্মোচন করে সেন্টার‘টির উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড.এ.বি.এম. শরীফ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেণী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ মোস্তফা কামাল, ইডিসি‘ প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) তানজিনা ইসলাম, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযীম, প্যানেল মেয়র-১ ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা খাতুন মিলি, রাসিক এমপ্লয়মেন্ট স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের কো-অর্ডিনেটর ও রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মহাঃ হবিবুর রহমান, কবি আরিফুল হক কুমার প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভাইয়ের মতো স্মার্ট নেতৃত্ব যদি থাকে, এমন নেতৃত্ব যদি প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা এবং প্রত্যেকটি জায়গায় থাকে তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প-২০৪১ সালের আগে বাস্তবায়ন হবে।
তিনি বলেন, গত ২১ জানুয়ারি এখানে এসে নগর ভবনে এমপ্লয়মেন্ট স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট দেখে অভিভূত হয়েছি। মেয়র লিটন ভাই নগর ভবনের ১০ তলায় ২৪০টি ছেলে-মেয়েকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি কর্মসংস্থান সৃষ্টির নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করছেন, তরুণ-তরুণীর স্বপ্ন পূরণ করছেন। এই উদ্যোগের পাশে থাকতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত। আমরা সিটি কর্পোরেশনকে ৬০টি কম্পিউটার সেট প্রদানের মাধ্যমে এমপ্লয়মেন্ট স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটকে সমৃদ্ধ করেছি। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনকে স্মার্ট, পেপারলেস, ক্যাশলেস সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা একসাথে কাজ করবো। আমি মনে করি স্মার্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগটি সারা বাংলাদেশে রোল মডেল হিসেবে আর্বিভূত হবে। যেটা সারাদেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়র মহোদয়গণ, সংসদ সদস্যগণ অনুসরণ করবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে লক্ষ্য বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা। রপ্তানি আয় বৃদ্ধির অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোসিং, সফটওয়্যার এক্সপোর্ট। আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষানগরী রাজশাহীর তরুণ-তরুণীরা প্রশিক্ষিত হয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ডলার আয় করবে। এক্ষেত্রে তারাও ভুমিকা রাখতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, আগামী ৫ বছরে আইসিটি সেক্টর থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করতে চাই এবং সারাদেশে ১০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মোট ৫৫৫টি জয় স্মার্ট সার্ভিস এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার (জয় ঝঊঞ ঈবহঃবৎ) নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ৫৫৫টি জয় ঝঊঞ ঈবহঃবৎ স্থাপিত হলে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী-তরুণ-যুবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রশিক্ষণের মেয়াদকাল হবে ৩ মাস বা ১২০দিন। প্রতিটি সেন্টারে একটি ব্যাচে ৪০জন প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। প্রতিদিন তিনটি ব্যাচ পরিচালিত হবে। ফলে তিন মাসের কোর্সে একটি “জয় ঝঊঞ ঈবহঃবৎ” থেকে ১২০ জন প্রশিক্ষণ পাবেন। সেই হিসেবে, একটি সেন্টার থেকে বছরে ৪টি ব্যাচে ৪৮০ জন প্রশিক্ষণ পাবেন। তবে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে স্থাপিত “জয় ঝঊঞ ঈবহঃবৎ” থেকে একটি ব্যাচে ৪০ জনের স্থলে ৬০জন প্রশিক্ষণ পাবেন। এই তরুণরা “জয় ঝঊঞ ঈবহঃবৎ এ ফ্রিল্যান্সিং করে ডলারে ইনকাম করতে পারবেন। একইসাথে, মাঠ পর্যায়ে ডিজিটাল ও উদ্ভাবনী সেবা সমূহ প্রদান আরও সহজ হবে এবং গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে।
অনুষ্ঠানে ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জানে আলম খান, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদ, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান, ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল হাসান (বাচ্চু), ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহের হোসেন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শিউলি, সেবুন নেসা, সামসুন নাহার, মমতাজ মহল, সুলতানা আহমেদ সাগরিকা, সুলতানা রাজিয়া, সচিব মোঃ মোবারক হোসেন, কবি আরিফুল হক কুমার, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আহমদ আল মঈন পরাগসহ বিভিন্ন শাখার অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সানশাইন/সোহরাব