বৃহস্পতিবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা: রাজশাহীর বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে একটি রাস্তা নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি করেছেন উপজেলার মুর্শিদপুর গ্রামের সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোশারফ হোসেনের ছেলে মওদুদ আহমেদ সুবজ। তবে পৌর সভার প্রকৌশলী নাজমুল আলম জানান, উন্নয়ন কাজ নিয়ে মেয়রের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয়। ঐদিন আমরা ছুটিতে ছিলাম। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একশ মিটার রাস্তার কাজ করেছে পুরো অন্ধকারে।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দায়েরকৃত অভিযোগে মওদুদ আহমেদ সবুজ জানান, বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান গেট থেকে আবাসিক এলাকা সমুহে ভেতর গত ৬ জানুয়ারি প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি রাস্তা নির্মাণ করার কথা ‘মেসার্স রিপা এন্টার প্রাইজ’, পরিচালক রবিউল ইসলামের। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, কাজটি করছেন বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর লোকজন। সেখানে ব্লক কেটে বালি ভরাট দেয়ার পর পানি দিয়ে রোলিং করে ইটের সোলিং বসিয়ে তার উপর একইঞ্চি ব্লকসহ এক ফিট অন্তর অন্তর লোহার রড় দিয়ে আরসিসি কনক্লিট ঢালাই হওয়ার কথা।
কিন্তু সরেজমিন লক্ষ করা গেছে, ঐ কাজে কোন ইটের সোলিং কিংবা লোহার রডের নিচে সিমেন্টের ব্লক দেয়া হয়নি। উপরন্তু রডের দুরুত্ব ছিল প্রায় দুই ফিট অন্তর-অন্তর। সেখানে যে ঢালাই দেওয়া হয়েছে তাতে সিমেন্টের পরিমান ছিল পরিমিত মাপের চেয়ে অনেক কম এবং ইটের খোয়া ছিল একেবারে নিম্ন মানের। ব্যবহার করা হয়নি ডোমার বালু। পাতলা পলিথিন বিছিয়ে অনিয়মের মাধ্যমে দায়সারা উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রিপা এন্টার প্রাইজ এর পরিচালক রবিউল ইসলাম বলেন, মেয়র আক্কাস আলী নিজে এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত নেই। তবে তার লোকজন সম্পৃক্ত রয়েছে। উক্ত রাস্তা নির্মাণ কাজের দিন আমি বাইরে ছিলাম। যদি কাজে অনিয়ম হয়ে থাকে, তাহলে টাকা কর্তন করে বিল দেয়ার বিধান রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলীকে মোবাইল করা হলে তিনি তাঁর ফোন রিসিভ করেননি। তবে পৌর সভার প্রকৌশলী নাজমুল আলম মুঠফোনে জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন আমরা সবাই ছুটিতে ছিলাম। ঐদিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একশ মিটার রাস্তার কাজ করেছে পুরো অন্ধকারে। কাজে অনিয়ম হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বরাদ্দকৃত উন্নয়ন কাজের টাকা কর্তন করে বিল দেয়ার বিধান রয়েছেন, এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ কথা সঠিক নয় । তাহলে ব্যবস্থা নেননি কেন ? এ সময় তিনি এই প্রতিবেদককে সাক্ষাতে এসে কথা বলার অনুরোধ জানান।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। যদিও আমি এ রাস্তার অথরেটি নই, তারপরও উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে তদন্ত করে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠাবো।