শনিবার, ২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ: নওগাঁয় চাকুরি স্থানীয়করণের দাবিতে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লিমিটেডের (নেসকো) পিচরেট মিটার রিডার ও বিল বিতরণকারীরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহরের কাঠালতলি এলাকায় নেসকো কার্যালয়ের সামনে পিচরেট কর্মচারী ঐক্য পরিষদ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ উত্তর-দক্ষিণ নওগাঁর উদ্যেগে এই কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। এরআগে গত ১৫ তারিখ থেকে তারা এই অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেন।
কর্মবিরতি চলাকালে বক্তব্য রাখেন, এসময় পিচরেট কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান, আন্দোল বাস্তবায়ন কমিটির বগুড়া সার্কেলের মুখপাত্র সুব্রত সরকার, পিচরেট কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উত্তর শাখার সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসনসহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী (পিচরেট) ভিত্তিতে মিটার পাঠক ও বিল বিতরণকারী হিসেবে তারা কর্মরত আছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ হয়নি, অনেকে চাকুরি হারাচ্ছেন। ফলে রাজশাহী ও রংপুর এই দুই বিভাগের প্রায় ৬শ’ জনের ঊর্ধ্বে পিচরেট কর্মচারী তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বর্তমানে চরম হতাশার মধ্য দিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাই অবিলম্বে তারা তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানান। না হলে আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।
পিচরেট কর্মচারী সুব্রত সরকার বলেন, দনেসকোর এমডি পিচরেট কর্মচারীদের চাকুরি দেওয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্ত আজও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেননি। বরং অনেক কর্মচারী চাকুরী হারাচ্ছেন। অবিলম্বে নেসকো কতৃপক্ষকে দাবি মেনে নেওয়ার আহবান জানান তিনি। বলেন, যতদিন চাকুর স্থায়ীকরন না করা হবে, ততদিন ওই আন্দোলন চলমান থাকবে।
আরেক কর্মচারী বেলাল হোসনস বলেন, দপ্রিপেইড বিদ্যুৎ মিটারে উন্নতকরনের কারণে রংপুর ও রাজশাহী জোনের প্রায় ৭০০ জন মিটার রিডার এবং বিল বিতরণকারী বেকার হয়ে পড়বে। অনেকে ১৫ থেকে ২০ বছর যাবৎ এই পেশায় নিয়োজিত আছি। এখন চাকুরি হারালে কি করে চলবেন। এই বয়সে অন্য কিছু করারও সুযোগ নেই। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।