শুক্রবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
তানোর প্রতিনিধি :
রাজশাহীর তানোরে প্রচন্ড শীত ও ঘনকুয়াশা উপেক্ষা করে বিলকুমারী বিলের ধারে বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষকরা। বন্যার পানিতে ধান ডুবে যাওয়ার ভয়ে বিল পাড়ের কৃষকরা প্রতিবছরই বিলের জমিতে আগাম বোরো ধান রোপন শুরু করেন। চলতি এবছরও প্রচন্ড শীত ও ঘনকুয়াশা উপেক্ষা করে বিলকুমারী বিলের জমিতে আগাম বোরো ধান রোপন শুরু করেছেন কৃষকরা। গত ১ সপ্তাহ আগে থেকেই কৃষকরা বিলের ধারের জমিতে বোরো ধান রোপন শুরু করেছেন।
কৃষকরা বলছেন, বন্যায় ধান ডুবে যাওয়ার ভয়ে বিলকুমারী বিলের জমিতে তারা আগাম বোরো ধানের চারা রোপন করেন। বিলের পানি নেমে যাওয়ার পরই কৃষকরা শুরু করেন বীজতলা তৈরির কাজ। বর্তমানে বোরো ধানের বীজ বা (বীছন) বড় হওয়ার পরে চারা রোপন শুরু হয়েছে। রাজশাহীর তানোর ও মোহনপুর উপজেলার সীমান্তের বিলকুমারী বিল পাড়ের গ্রাম কামারগাঁ, তালন্দ, গোকুল, চাপড়া, ধানতৈড়, গুবিরপাড়া, কুঠিপাড়া, হলদারপাড়া, আমশো, জিওল, বুরুজ, মেলান্দী ও বেলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে, বিলের পানি নেমে যাওয়া জমিগুলোতে কৃষকদের বোরো বীজ রোপনের উপযোগী হয়ে উঠেছে। ফলে কিছুকিছু কৃষক তাদের জমিতে বোরো রোপন শুরু করেছেন
অপরদিকে, বেশির ভাগ কৃষকেরই বোরো বীজ রোপনের উপযোগী হয়ে উঠায় জমিতে সেচ দিয়ে চাষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তানোর পৌর এলকার ধানতৈড় গ্রামের আদর্শ কৃষক আবদুল আলিম বলেন, এবছর তিনি বিলের ধারের ২ বিঘা জমিতে বোরো রোপন করছেন। কিন্তু প্রচন্ড শীতের কারণে ধানের শিকড় গজাতে একটু দেরি হলেও সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, বন্যার পানিতে ধান ডুবে যাবার ভয়ে আগাম বোরো রোপন করছেন। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই বিলপাড়ের জমিগুলো প্রায় বোরো রোপন সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এমন লক্ষ নিয়েই কৃষকরা পুরো দমে জমিতে সেচ ও চাষের কাজ করছেন। ফলে বিল পাড়ের জমিতে বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
তানোর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগ জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে বিলকুমারী বিলের জমিতে। উপরের জমিতে অল্প সংখ্যক বোরো চাষ হলেও বেশির ভাগ জমিতে হয়েছে আলু চাষ।
সানশাইন/সোহরাব