শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: আট ওভারে রান বিনা উইকেটে ৪০, আশা জাগানিয়া শুরু। কিন্তু বৃষ্টি বিরতির পর পথ হারিয়ে ফেলল জিম্বাবুয়ে। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার স্পিন বিষে হলো নীল, গুটিয়ে গেল তারা একশর আগেই। অনায়াস জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল শ্রীলঙ্কা।
বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে শ্রীলঙ্কার জয় ৮ উইকেটে। তিন ম্যাচের সিরিজ স্বাগতিকরা জিতল ২-০তে। বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছিল প্রথম ম্যাচ। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দুই দফা বৃষ্টিতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ২৭ ওভারে। ২২.৫ ওভারে জিম্বাবুয়ে অল আউট হয় ৯৬ রানে। অধিনায়ক কুসাল মেন্ডিসের অপরাজিত ফিফটিতে লঙ্কানরা লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ৬২ বল হাতে রেখে।
জয়ের নায়ক হাসারাঙ্গা। ছয় মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে ৫.৫ ওভারে ১৯ রানে ৭ উইকেট নেন ২৬ বছর বয়সী লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার। ওয়ানডে ইতিহাসে পঞ্চম সেরা বোলিং এটি। ২০০১ সালে কলম্বোর আরেক মাঠ সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি পেসার চামিন্দা ভাসের ১৯ রানে ৮ উইকেট বিশ্ব রেকর্ড হিসেবে টিকে আছে দীর্ঘদিন।
জিম্বাবুয়ের ইনিংসে ধস নামানোর শুরুটা হাসারাঙ্গার হাত ধরেই। প্রথম দফা বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে দুই ঘন্টার বেশি সময়, ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে তখন ৪৩ ওভারে। নবম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে আসেন হাসারাঙ্গা। নিজের প্রথম দুই ওভারে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন তিনি। তখনও কে জানত, জয়লর্ড গাম্বির ২৯ রানই হয়ে থাকবে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ!
এরপর দ্বিতীয় দফা বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে আড়াই ঘন্টা। তবে জিম্বাবুয়ে আর মোমেন্টাম খুঁজে পায়নি। এবার খেলা শুরু হওয়ার পরপর মিল্টন শুম্বাকে ফিরিয়ে চতুর্থ শিকার ধরেন হাসারাঙ্গা। সিকান্দার রাজাকে টিকতে দেননি আরেক স্পিনার মাহিশ থিকশানা। রায়ান বার্লকে দ্রুত বিদায় করে দেন পেসার জানিথ লিয়ানাগে। হাসারাঙ্গা দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন ক্লাইভ মাডান্ডেকে বোল্ড করে। পরে টানা দুই বলে শেষ দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে সফরকারীদের ইনিংস গুটিয়ে দেন তিনি।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারে আভিশকা ফার্নান্দোকে হারায় শ্রীলঙ্কা। তিনে নেমে মেন্ডিস আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নেন দলকে। অন্য প্রান্তে অভিষিক্ত শেভন ড্যানিয়েলকে সংগ্রাম করতে দেখা যায় রান করতে। ৭৩ রানের জুটি ভাঙে তার বিদায়েই। ১২ রান করতে তিনি খেলেন ২৮ বল। মেন্ডিস ফিফটি করেন ৩৭ বল। সাদিরা সামারাউইক্রামাকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিয়ে ফেরেন তিনি। ৫১ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান অধিনায়ক।