শুক্রবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: নাটোর-৪ আসনের বড়াইগ্রামে গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আবদুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভনের (ট্রাক) পাঁচ কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এসময় তাদের তিনটি মোটর সাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার কচুগাড়ি এলাকায় এ হামলার জন্য নৌকার প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর কর্মীদের দায়ী করেছেন ভূক্তভোগী কর্মীরা। এ ঘটনায় সোহেল রানা নামে এক নৌকার কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সোহেল কচুগাড়ি গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে।
আহত কর্মীরা হলেন উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের বর্ণিগ্রামের রুবেল হোসেন (৩০), চামটা গ্রামের জসিম উদ্দিন (৩২), আশরাফ আলী (৩৪), শামীম হোসেন (৩৬) ও সুজন আলী (৩০)।
বড়াইগ্রাম থানা ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের কচুগাড়ি গ্রামে নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে শনিবার রাত ১০টার দিকে সাবেক চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পাঁচ কর্মী বাড়ি ফিরছিলেন। তারা কচুগাড়ি ঈদগাহ এলাকায় পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা অতর্কিত হামলা করে। এসময় তারা লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পাঁচজনকে আহত করে। পরে তাদের পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তারা। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বোরহান উদ্দিন মিঠু পুলিশ সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জোনাইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী প্রচার শেষে কচুগাড়ি থেকে ফিরছিলাম। হঠাৎ নৌকা প্রতীকের কর্মী জোনাইল ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যানের ছেলে সোহেল রানা পুটুর নেতৃত্বে অজ্ঞাত ২৫-২৬ জন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিটসহ পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।’
তবে অভিযুক্ত সোহেল রানা পুটু বলেন, ‘আমি নগর ইউনিয়নে নৌকার প্রচারণার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। যার ছবি ও ভিডিও আমার কাছে আছে। তারা নিজেরাই এসব ঘটনা ঘটিয়ে নৌকার কর্মীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আযম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু রাসেল বলেন, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।