রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার:
পথশিশু মো: মোস্তাফিজুর রহমান (বুলু) বয়স-১২ বছর পিতা-মো: মিলন হোসেন, মাতা মৃত: মোক্তানা বেগম, গ্রাম: নিতাই সেলিমের মোড়, ডাকঘর-নিতাই হাট, থানা- কিশোরগঞ্জ, জেলা- নীলফামারী।
শিশুটির মা ৮ বছর পূর্বে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায়। বুলুর মা মারা যাওয়ার পরে তার পিতা ২য় বিয়ে করে। তার সৎ মা তাকে দেখতে পারে না। ছোট খাটো ভুল করলে অনেক মারধর করত। এই ভাবে তার ৩ বছর কেঁটে যায়। সৎ মায়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সে ট্রেনে করে ঢাকায় চলে যায়।
ঢাকা রেল স্টেশনে কুলিগিরি করে ও মানুষের কাছে ভিক্ষা করে সে ১বছর অতিবাহিত করে। ১ বছর পরে ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে চড়ে এসে রাজশাহীর শিরোইল স্টেশনে এসে থাকতে শুরু করে। সেখানে তার ঠিকমত থাকার সুযোগ হত না। পরে সে ভাঙ্গড়ি কুড়ানো কাজ করতে গিয়ে এক বয়স্ক নারীর সাথে পরিচয় হয় এবং তার সাথে থাকতে শুরু করে। এক সময় আলোকিত শিশু প্রকল্পের স্টাফগণ বুলুকে খুজে পায় এবং ডিআইসির সেবা সমূহ তার সাথে আলোচনা করে। এর পর থেকে সে ডিআইসিতে আসতে শুরু করে। পরবর্তীতে তার পরিবারের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে তাকে রিইন্ট্রিগ্রেশনের জন্য মনোনীত করা হয়। ফোনের মাধ্যমে তার বাবা ও দাদা-দাদীর সাথে যোগাযো করা হয় । সে দাদা-দাদীর কাছে যেতে চায়।
তার দাদা-দাদী ও তাকে নিতে চায়। ফোনের মাধ্যমে তার দাদা-দাদীকে রাজশাহীতে আসতে বলা হয়। তার দাদা-দাদী (১৯ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে আসে এবং পদ্মলেক নূর-এ জান্নাত জামে মাসজিদের পেশ ইমাম মাও: মো মাহে আলম ও মাসজিদের সেক্রেটারী মো: মাহফুজুল ইসলাম ও আলোকিত শিশু প্রকল্পের সকল স্টাফগণের উপস্তিতিতে তাকে হস্তান্তর হয়।
সানশাইন/সোহরাব