শনিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
মোহনপুর প্রতিনিধি :
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আয়েন উদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। এ জন্য গতকাল বুধবার রাতে মাটিতে সিজদা দিয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন রাজশাহীর মোহনপুরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষক। তার নাম আহসান হাবিব ওরফে রনি।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই আহসান হাবিব ঢাকায় ছিলেন। বুধবার রাত ৯টায় তিনি মোহনপুরে ফেরেন। এরপর উপজেলা সদরে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে তিনি একটি সিজদা দেন। মোহনপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও ছিলেন তিনি। এখন স্থানীয় একটি কলেজে শিক্ষকতা পেশায় আছেন।
সিজদা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আহসান হাবিব বলেন, ‘এমপি আয়েন উদ্দিন দশ বছর এমপি ছিলেন না, তিনি মানুষের ওপর একজন জুলুমকারী ছিলেন। আমি মোহনপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। আয়েন উদ্দিন এমপি হয়েই আমার কমিটি ভেঙে দেন। শুধু তাই নয়, বিনা কারণে আমাকে পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে গিয়ে থানায় আটকে রেখে নির্যাতন করান। তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুকুনুজ্জামান রিন্টুর হস্তক্ষেপে আমাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। এরপর বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি ধামকি দিতেই থাকেন। বর্তমানে আমি একটি কলেজের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছি। তিনি বারবার আমাকে কলেজ থেকে সাসপেন্ড করার চেষ্টা করছেন। এবার মনোনয়ন পেয়ে এমপি হলে তিনি আমাকে সাসপেন্ড করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। আল্লাহর অশেষ কৃপায় এবং মোহনপুরবাসীর অভিশাপের কারণে এমপি আয়েন উদ্দিন এবার মনোনয়ন পাননি। এটা এলাকাবাসীর জন্য একটি আশীর্বাদ তাই আমি ঢাকা থেকে এসে বাস থেকে নেমেই মোহনপুর থানার মোড়ে রাস্তায় মাটিতে সিজদা করে আল্লাহর কাছে একটা শুকরিয়া আদায় করেছি। এছাড়াও এমপি আয়েন উদ্দিন রাজাকার পরিবারের সন্তান। তিনি মনোনয়ন মনোনয়ন না পাওয়ায় পবা মোহনপুরবাসী কলঙ্কমুক্ত হলো।
এমপি আয়েন উদ্দিন এখন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ২০১৪ সাল থেকে পর পর দুইবার নৌকার টিকিটে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। এবার এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। তবে নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সানশাইন / শামি