শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
নুরুজ্জামান,বাঘা :
মানুষ আজীবন বাঁচেনা। বৃক্ষ মরে গেলে পাতা ঝরে,আর মানুষ মরে গেলে পচে যায়। মৃত্যুর পর দেহ মিশে মাটিতে। তবু কিছু মানুষকে হারাতে মন চাইনা। তার পরেও মানুষ হারিয়ে যায়। তবে রেখে যাই কিছু স্মৃতি। তাঁদেরই একজন সোঁদা মাটির গন্ধ মাখা মাষ্টার মশাই অধ্যাপক নুরুল ইসলাম।
তিনি আজ থেকে ৫০ দিন পূর্বে এ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তাঁর আত্নার মাগফিরাত কামনা করে শুক্রবার(২৪ নভেম্বর) বাঘার সরের হাট এলাকায় নিজ বাসভবনে দোয়া ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে অধ্যাপক নুরুল ইসলাম স্মরণে তাঁর বড় ছেলে বিশিষ্ঠ নাট্যকার শিমুল সরকারের সম্পাদনায় একটি স্মরণিকার মোড়ক উন্মুক্ত করেন প্রয়াত শিক্ষকের স্ত্রী খালেদা ইসলাম সরকার মুক্তা ও সংগীত শিল্পী আবুল সরকার বাবু । নুরুল ইসলাম বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজে ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
বিকাল সাড়ে ৪ টায় মরহুমের বাসভবন প্রাঙ্গণে এই স্মরণ সভার আয়োজন করেন তার পরিবার। এদিন বাদ মাগরিব মরহুমের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক-ছাত্র ও সুধীজনরা। এর মধ্যে ছিলেন- বিশিষ্ঠ কবি ও দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক আবুল কালাম মোহাম্মদ আজাদ, গড়গড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম,অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, সরের হাট স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দীন,প্রয়াত শিক্ষকের বন্ধু সেনা সদস্য (অবঃ) শফিউর রহমান, কলেজ শিক্ষক সানোয়ার হোসেন, ছাত্র স্বপন সরকার ও জিয়াউল হক, প্রয়াত শিক্ষকের ছেলে বিশিষ্ট নাট্যকার শিমুল সরকার, শিক্ষকের ভাতিজা বাবু ইসলাম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত শিক্ষকের অসংখ্য গুনগ্রাহী শিক্ষার্থী,এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন। তাঁর চলে যাওয়া যে ক্ষত তৈরি করেছে তা শুকিয়ে যাবে না কোনদিন। স্যারের চলে যাওয়া আমাদের অনেক বেশি পোড়ায়। কারণ তিনি খুব আশাবাদী লোক ছিলেন। কেউ পথ হারালে পথের সন্ধান চাইলে তাকে পথের সন্ধান দিতেন। খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে মিশে থাকতেন। তার চিন্তায় থাকতো সবাইকে সচেতন করে সমাজের প্রতি ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব পালন করানো। তিনি বলতেন, আমাদেরকে বাংলাদেশের স্বপ্ন ও সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কাজ শুরু করতে হবে নতুন প্রজন্মকে নিয়ে। যারা সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারবে।
সানশাইন/সোহরাব