সোমবার, ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।
হিলি প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের হিলিতে রোপা আমন মৌসুমের আগাম জাতের ধান ব্রি-৯৩ আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। উৎপাদন খরচ কম ও স্বল্প সময়ে ধান ঘরে তুলতে পেরে খুশি এখানকার প্রান্তিক কৃষক ও শ্রমিক। তিন ফসলি জমিতে এ ধান চাষ করে দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এই ধান। এরই মধ্যে এ ধান কাটামাড়াই শেষে রবি শস্য লাগানো পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে। কৃষি বিভাগ বলছেন আগামীতে নতুন জাতের এই ধান কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপজেলার ছাতনী গ্রামের কৃষক খাইরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনি ৩ বিঘা জমিতে ব্রি-৯৩ জাতের ধান আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। রোপা আমন মৌসুমে অন্যজাতের ধান আবাদ করে ১৬ থেকে ১৮ মণ ধান ফলানো যাচ্ছিলনা। সেখানে এই ধান লাগিয়ে বিঘাতে ২৫ মণ ফলন পেয়েছেন। সেই সাথে অল্প সময়ে এই ধান ঘরে আসায় আগাম রবি শস্য লাগানোর কাজ কাজ করছেন।
একই গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, স্বর্ণা জাতের অন্য ধানের থেকে এই ধানের ফলন ভালো পেয়েছেন। তিনি আরোও জানান, এই ধানের রোগ বালই কম হওয়ায় উৎপাদন খরচও কম হয়েছে।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা: আরজেনা বেগম জানান, রোপা আমন মৌসুমে স্বর্ণা, স্বর্ণা-৫ , গুটি স্বর্ণার পরিবর্তে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউড ২০১৯ সালে এই ধান অবমুক্ত করেন। এবং এই উপজেলায় গত মৌসুমে কৃষকদের মাঝে কিছু বীজ সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরে বেশ কিছু প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে আগামীতে অন্তত ৫শ হেক্টর জমিতে এই ধান আবাদের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ উজেলায় ৮ হাজার ১১৭ হেক্টর কমিতে রোপা আমন ধান আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬২ হেক্টর জমিতে ব্রি-৯৩ জাতের ধান আবাদ হয়েছ।
সানশাইন / শামি