মঙ্গলবার, ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
রাবি প্রতিনিধি : উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বুধবার সকালে দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে অবস্থিত অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান রাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও দর্শন বিভাগ।
দিবসটি উপলক্ষে এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় দর্শন বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নিলুফার আহমেদের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, হাসান আজিজুল হক মানুষের অধিকারের কথা বলতেন এবং শোষিতের পক্ষে ছিল তাঁর দৃঢ় অবস্থান। তিনি সারাটি জীবনই অসাম্প্রদায়িক চেতনার জয়গান করেছেন এবং লেখনির মাধ্যমে তা প্রকাশ করেছেন। সাংস্কৃতিক অঙ্গণেও ছিল তাঁর অবদান। তিনি আমাদের জাতীয় শিক্ষকতূল্য। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একজন মানুষ পাওয়া গর্বের বিষয়।
আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা বলেন, হাসান আজিজুল হক ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রেরণা। আগুন পাখি ছিল তাঁর শ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব। বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান অনন্য। শুধু সাহিত্য নয়, একজন প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে তিনি ছিলেন অনুকরণীয়। তাঁর আদর্শ আমাদের সর্বদা অনুপ্রাণিত করবে।
এছাড়া মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক চৌধুরী জুলফিকার মতিন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের জীবনদর্শনের ওপর স্মৃতিচারণ করেন। এ সময় তিনি কথাসাহিত্যিকের সাহিত্য, সংগ্রাম ও সমাজ চেতনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
দর্শন বিভাগের শিক্ষক তাসনিম নাজিরা রিদার সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন দর্শন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মহেন্দ্রনাথ অধিকারী, অধ্যাপক শামীমা আক্তার, অধ্যাপক আলতাফ হোসেন (২) ও হাসান আজিজুল হকের পুত্রবধু বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুলতানা রাজিয়া প্রমুখ। এ সময় হাসান আজিজুল হকের পুত্র রাবি প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ হাসানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।