রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
মোঃ মুকুল হোসেন
প্রায় দেড় দশক ধরে সরকার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ সময় এই দায়িত্বে থাকায় চারিদিকে তাকালে মনে হয় সবখানে শুধু আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ। যেন আওয়ামী লীগের জোয়ার বইছে সবখানে। তবে, ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে বোঝা যায় এই জোয়ারে অংশ নেয়া বড় একটা অংশই সুবিধাবাদি। নিজের সুবিধার জন্যই তারা এই পতাকাতলে অংশ নিয়েছে। একথা সত্য যে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থক আগের যে কোন সময়ের থেকে বেশি। কিন্তু প্রকৃত কর্মী, যারা দলের জন্য নিজেদের রক্ত দেয়ার জন্য প্রস্তুত এমন কর্মী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রকৃত আওয়ামী লীগের সংখ্যাটা কেমন-এটা বিবেচনার বিষয়।
দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণে মনে হয় যারা হৃদয়জুড়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আঁকড়ে ধরে আছে এমন আওয়ামী লীগ কর্মীরা অনেকেই এখন কোণঠাঁসা অবস্থায় রয়েছে। বরং গত দেড় দশক ধরে দল ক্ষমতায় থাকার যে সুবিধা সেটি যারা ভোগ করছেন তাদের বড় একটা অংশই রক্ত দিয়ে আওয়ামী লীগকে এগিয়ে রাখার লড়াইয়ের কর্মী নন। পরিক্ষীত কর্মী না হয়েও দাপুটে আওয়ামী লীগ একন অনেকেই। এই লেখার মূল ভাবনা হলো আগামী দিনের আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিয়ে যাবে কারা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে। এর মজবুতের মূল শক্তি বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা। আমার বিবেচনায় বাংলাদেশে নানা ঘাত প্রতিঘাতের পরও আওয়ামী লীগের মজবুত অবস্থানের পেছনে যে কয়টা কারণ গুরুত্বপূর্ণ তার একটি বঙ্গবন্ধু আর আরেকটি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। সেই সাথে যে শক্তিটি আওয়ামী লীগকে এতটা মজবুত অবস্থানে রাখার বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে সেটি হলো বিপুল সংখ্যক ত্যাগী নেতাকর্মী। এই দলে এমন অগণিত নেতাকর্মী আছেন যারা কোন সুবিধার পেছনে কখনোই ছোটেনি। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনলে যাদের গায়ের লোম সোজা হয়ে দাঁড়ায়, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশনা পালনে যারা দ্বিতীয়বার না ভেবে আগুনে ঝাঁপ দিতে পারে। এরকম অনেক কর্মী দেখা আছে। এমন অনেককেই আমি চিনি, যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস রাখেন, পাগলের মত ভালোবাসেন। যাদের নিজের বাড়িতে দু’বেলা খাবার হয় না কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ তার বাড়িতে গেলে কিভাবে তাকে আপ্যায়ন করাবেন সম্মান জানাবেন তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
বর্তমান সরকারের একটানা পনেরো বছর দেশ শাসনের শেষ সময়ে এসে আমার মনে নানা সংশয় দেখা দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সামান্য একজন কর্মী হিসেবে বড্ড ভয় হচ্ছে। এর পুরোটাই আগামী দিনের আওয়ামী লীগের কথা ভেবে। বিশ্বাস করি আগামী নির্বাচনে জনগণ আবারো দেশ শাসনের ভার আওয়ামী লীগের হাতেই দিবে। দেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই মানুষ আবারো নৌকার পক্ষেই রায় দিবে। কিন্তু নৌকার জয় হওয়ার পরও আগামী দিনগুলো আওয়ামী লীগের জন্য খুব সহজ নাও হতে পারে। নানা প্রতিবন্ধকতা, অপপ্রচার, অপতৎপরতা মোকাবেলা করতে হবে সরকারকে, এটি আমার ধারণা। আর সংশয়টা এখানেই, ভয়টাও এখানেই।
ওই সংকট মোকাবেলার জন্য দরকার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রকৃত কর্মীর ঐকবদ্ধ শক্তি। ঐসব ত্যাগী নেতাদের দরকার যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা পালনে দ্বিতীয়বার ভাবে না। বরং নির্দেশনা বাস্তবায়নে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরকম বিশ্বস্ত কর্মী ছাড়া এমন সংকট কাটানো কি আদৌ সম্ভব? আগেই বলেছি, এমন পাগল আওয়ামী লীগ অনেক রয়েছে। কিন্তু তারাতো এখন জীর্ণদশায় রয়েছে। সুবিধাবাদিদের সাথে লড়তে লড়তেই তারা ক্লান্ত। আমার মনে হয় এরকম ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ণ করার এখনই সময়। তাদের জীর্ণশীর্ণ অবস্থানের উন্নয়ন এখনই করতে হবে। আগামী দিনে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের মজবুত অবস্থান ধরে রাখতে হলে দলপাগল, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একনিষ্ঠ কর্মী, জননেত্রী শেখ হাসিনায় যাদের অন্ধ বিশ্বাস এমন কর্মীদের এগিয়ে নিতে হবে। সবার কথা বলতে গেলে অনেক বড় পরিসর দরকার। আজ শুধু একজন পৌড় খাওয়া ত্যাগী আওয়ামী লীগ কর্মীকে উপমা হিসেবে হাজির করতে চাই। আমার বিশ্বাস পরিচয় জানার পর অনেকেই পক্ষেই মত দিবেন। আবার যতটুকু বলবো তার থেকে অনেক বেশি গুণের কথা হয়তো বলতে পারবেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনেক কর্মীও। স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগ করা বঙ্গবন্ধুর এই সৈনিক পরবর্তীতে যুবলীগ এবং সবশেষ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন তিনি নেতৃত্বে নাই, অবাক হই তিনি এখন নেতা না থাকলেও পুরো জেলার প্রতিটি উপজেলাতেই তার অগণিত কর্মী সমর্থক।
ত্যাগী আওয়ামী লীগের কর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে যিনি পরিচিত তিনি হলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। তার নাম শুনে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে দাপুটে কিছু নেতা বা জনপ্রতিনিধি হয়তো বলতে পারেন ভিন্ন কথা। এই লেখা পড়ার আগ্রহও হয়তো হারাতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা হলো আমার দেখা এমন ত্যাগী আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল নেতারাই তো এই বাংলায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আসল প্রচারক। তার সম্পর্কে যেটুকু জানা তার কিছুটা বর্ণনা করলে হয়তো দলের প্রকৃত বন্ধুরা একবাক্যে বলবেন আগামী দিনে আওয়ামী লীগকে শক্ত অবস্থানে রাখতে হলে আসাদদের মূল্যায়ণ করতে হবে এখনই। যারা সুবিধার জায়গায় না থেকেও দলের জন্য নিজেকে নিংড়ে দিয়েছেন, দিচ্ছেন এমন কর্মীইতো আগামীর বহু বছর আওয়ামী লীগের ঝান্ডা উড়িয়ে যাবেন। আসাদদের মত আরো যেসব দল পাগল নেতাকর্মী আছেন তাদের আর অবহেলা করবেন না দয়া করে। তাদেরতো অনেক পরীক্ষায় নেয়া হয়েছে যুগের পরে যুগ। এবার তাদের নিয়ে প্রিয় দল আওয়ামী লীগের ভিতকে মজবুত করুন প্রিয় নেত্রী
আসাদকে যেমন দেখি …
২০২১ সালের ৭ মার্চ শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে আসাদুজ্জামান আসাদের একটি একক আলোচনা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রবেশের আগেই করতে হয়েছে রেজিষ্ট্রেশন। কোন রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য শোনার জন্য এইটি প্রথম অনুষ্ঠান যেখানে রেজিষ্ট্রেশন করে মানুষ বক্তব্য শুনেছে। সেখানে তিনি একাই আলোচক ছিলেন। মঞ্চের সামনে আমিসহ হাজারো মানুষ বসা। সেদিন আসাদের বক্তৃতা শুনে মুগ্ধ হলাম। অসাধারণ রাজনৈতিক এক ব্যক্তিত্ব। নিজের উপর কী দারুণ আত্মবিশ্বাস। তখন তিনি দলের নেতা নন। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার বক্তব্য শুনছি আর ভাবছি, সত্যিকার অর্থেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর নেতৃত্ব থেকে যারা শিক্ষা নিয়েছেন শুধুমাত্র তারাই নিজেদের উপর এমন আস্থা রাখতে পারে। আরেকটি বিষয় সেখানে দেখলাম, তার এই একক আলোচনা অনুষ্ঠানে রাজশাহী শহরের বেশ কিছু গুণি মানুষ হাজির হয়েছিলেন। তিনি সাবেক নেতা হলেও জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকেই এসেছিল হাজার হাজার আদর্শিক কর্মী। সেদিনের এই আয়োজন দেখে আসাদের ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হই। পরবর্তীতে তার সম্পর্কে জানতে গিয়ে অসাধারণ নেতৃত্বের সত্যতা পাই।
একই বক্তৃতায় তার কয়েকটি কথা আমার এখনো হৃদয়কে নাড়া দেয়। আসাদ বলেছিলেন, দলের পদ-পদবী তো বিভিন্ন মানুষই পায়। পদ পাওয়া মানুষেরা আমাদের সাথে হাঁটুক, আমরা পদবিহীন মানুষেরা হাঁটবো। একবার দেখি না তাদের কাতারে লোক বেশি হয়, না আমাদের কাতারে। আসাদ বলেন, আমাকে আওয়ামী লীগের পদ থেকে বাদ দিতে পারেন। আওয়ামী লীগের আদর্শ থেকে বাদ দিতে পারবেন না। আমাকে শেখ হাসিনার মিটিংয়ে ওঠা থেকে বঞ্চিত করতে পারেন। কিন্তু মাদ্রাসা মাঠে শেখ হাসিনার উচ্চারণ-আসাদ কোথায়? এই ডাক তো আপনারা বন্ধ করতে পারবেন না।
আসাদ বললেন, আমাকে মনোনয়ন না দেয়ায় (২০১৮ সালের নির্বাচনে) শেখ হাসিনা আপাকে আমি বলেছিলাম, আপা আমি আর কাজ করতে পারবো না। আপা আমাকে বলেছিলেন-জবাই কাকে করা হয়? কাছের মানুষকেই। আমি তোকে জবাই করেছি, তোকেই কাজ করতে হবে। এই অধিকার নিয়ে কে কথা বলতে পারে? এটি তো আপনারা বন্ধু করতে পারবেন না। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বলছি, সাবধান! ভালোভাবে চলেন, ভালো পথে হাঁটেন। আওয়ামী লীগের প্রবীণদেরকে সম্মান করেন। ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ যাদের ছাড়া আমাদের মিটিং মিছিল হয় না, যারা আমাদেরকে নেতা তৈরি করে, যারা আমাদেরকে সম্মান দেয়, তাদের সম্মান না দিয়ে আপানারা তাদের যোগ্যতা থাকার পরেও স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন জায়গায় চাকরি থেকে বঞ্চিত করে টাকার বিনিময়ে জামায়াত-বিএনপির কর্মীদের চাকুরি দিয়েছেন কেন?
আসাদ বলেন, আমি আওয়ামী লীগের পথেই থাকবো। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথেই পথ চলবো। আর আমার জীবনের শেষ লক্ষ্য তো আছেই। আমার মৃত্যুর পর অনেক নেতার চেয়ে আমার জাযানা যাতে বড় হয়, এই লক্ষ্যই আমার পথ চলা। সেই লক্ষ্য নিয়েও আমি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
তার এই কথাগুলোর ভাবার্থ বেশ শক্ত, দৃঢ়তার সাথে দেয়া তার এই বক্তব্যগুলো শুনে আসাদ সম্পর্কে আরো আগ্রহী হই।
প্রধানমন্ত্রী যখন জেলে গেলেন তখন আসাদের ভূমিকা:
রাজশাহীতে উত্তরবঙ্গের মধ্যে প্রথম প্রতিবাদ মিছিল হয় আসাদের নেতৃত্বে। এরপরে নেত্রীর মুক্তির দাবিতে রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাক্ষর সম্বলিত প্রতিবাদলিপি তৎকালীন সরকারের কাছে প্রেরণের উদ্যোগ নেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবাদলিপির কপিটি জমা দেন। এই দাবিতে শেখ হাসিনার মুক্তি দাবি তরান্বিত করার প্রত্যয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার দাবিতে সেই সময়ে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের নিকট রাজশাহীর সাবেক ছাত্রনেতাদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি চিঠি হস্তান্তর করেন। এছাড়া কখনও ঢাকায় আবার কখনও রাজপথে নেত্রীর মুক্তির দাবিতে সাহসী ভূমিকায় অগ্রণী ভূমিকা আসাদের ছিলো সব সময় অনন্য।
আবার যদি দেখি একজন নেতার মানবিবক গুণাবলি সেখানেও আসাদ অনন্য। কখনো হাসপাতালে, কখনো ক্লিনিকে, কখনো ডাক্তারের চেম্বারে নেতাকর্মীদের চিকিৎসার জন্য তার ব্যস্ততা। আবার কোন নেতাকর্মী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করলে তার লাশ প্রেরণের ব্যবস্থাও করেন তিনি। গরীব নেতাকর্মীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা, ওষুধ নিয়ে দেওয়ার কাজটি তিনি প্রায়ই করে থাকেন।
করোনার সময়:
করোনাকালীন সময় রাজশাহীতে আসাদই প্রথম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই মহামারি সময়ে কেউ খাবারের কষ্ট পেলে আমাকে ভাই মনে করে ফোন দিবেন। আমি সাধ্যমত আপনার বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিবো।’ এই কাজটি তিনি করেছেন। কখনও করোনায় আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, কখনও স্যালাইন, কখনও অক্সিজেন পাঠানো-এই কাজগুলিতে তার পাশে ছিলেন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
সেই সময় করোনা রোগীদের জন্য তিনিও প্রথম ব্যক্তি পর্যায়ে আসাদের নেতৃত্বে সাবেক ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে অক্সিজেন ব্যাংক গড়ে তুলেন। পাশাপাশি মানুষকে বিনামূল্যে অক্সিজেন পৌঁছে দেন। এছাড়াও রাজশাহীর বিভিন্ন হাটে-বাজারে, গ্রামে-গঞ্জে মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা টেস্টসহ অন্যান্য টেস্ট হাসপাতালেই চালু করার জন্য দাবি করেন আসাদ। কিন্তু ঐ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় তাদের লোকবলের অভাব রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আসাদের নেতৃত্বে সাবেক ছাত্র নেতারা নিজস্ব লোকবল দিয়ে হাসপাতারে পরীক্ষা শুরুর ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল তাদের লোকবল দিয়ে শুরু করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
পারিবারিকভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ:
আসাদের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রবেশ পারিবারিকভাবেই। তার পিতা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে আসাদের বাবার বাড়িই ছিলো আওয়ামী লীগের অন্যতম ঠিকানা। আবার আসাদসহ তার ভাইদের রাজনৈতিক অঙ্গনে পদচারণায় যে সুনাম ও সুখ্যাতি অন্য কারো মধ্যে বিরাজমান নাই। আবার যদি দেখি পদ হারিয়ে যাওয়ার পরেও নেতৃত্বে আসনে না থেকেই নেতাকর্মীদের ভরসার কান্ডারি আসাদকে আলোকিত নেতৃত্ব হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে গর্বিত হন।
পদ হারালেও নেতৃত্ব ছাড়েননি:
দল ক্ষমতায় থাকার পরও আবার এই আসাদকেই দেখি নির্যাতিত মামলা হামলার শিকার নেতাকর্মীদের সাথে কখনো কোর্টের বারান্দায়, কখনও এডভোকেটের চেম্বারে, কখনও জেলখানার গেটে। আবার আওয়ামী লীগের প্রবীণ মানুষদের দুঃখ-দুর্দশা খোঁজ খবরে আসাদের অনন্য ভূমিকায় আসাদকে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোকিত নেতৃত্ব বলে রাজনৈতিক মহল মনে করে। সব মিলিয়ে বহুগুণে গুনান্বিত হয়ে নেতাকর্মীদের ভরসার আশ্রয়স্থল আসাদ। আবার শেখ হাসিনাকে নিয়ে মিথ্যা প্রচারণায় আল জাজিরার মত আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম মিথ্যা প্রচারে লিপ্ত তখন ‘আমরা শেখ হাসিনার লোক’ এই ব্যানারে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ছবি নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীর প্রতিবাদ মিছিল বাংলাদেশের মধ্যে এটিই প্রথম। এইভাবে হাজারো কর্মের উদাহরণ উপস্থাপন করা যায়। যার প্রধান কারিগর আসাদ।
মাননীয় নেত্রী, আওয়ামী লীগতো তৃণমূলের উপরেই ভরসা করে। আপনি তো তৃণমূলের উপরেই ভরসা করেন। অতএব আসাদের মত পরীক্ষিত মানুষদের মূল্যায়িত করার এখনই সময়।
সানশাইন / শামি