রবিবার, ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: দুই মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কাজে বিদেশ থেকে চিকিৎসক আসছেন ঢাকায়। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন জন চিকিৎসক আসবেন। আগামী এক-দুদিনের মধ্যে তাদের ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে বারবার সরকারের কাছে বলার পরও কোনও ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। তিনি ২ মাসের অধিক সময় ধরে এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীলকে ফোন করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে বিএনপির সূত্র জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য উভয় মন্ত্রণালয় থেকেই চিকিৎসক আনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে তিন জন চিকিৎসক আসছেন তারা হলেন, ডা. হামিদ আহমেদ আব্দুর রব, ডা. ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ও ডা. জেমস পিটার অ্যাডাম হ্যামিলটন। তারা তিন জনই বিশ্বখ্যাত মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় জনস হপকিন্সের চিকিৎসক। এদের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রফেসর হামিদ রব জন হপকিন্স কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামের পরিচালক এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। আর অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের পরিচালক। তিনি রেডিওলোজি অ্যান্ড রেডিওলোজিকাল বিশেষজ্ঞ। আর সহযোগী অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলট একই বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলোজি বিভাগের পরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে। বেশ উদ্বেগজনক অবস্থায় আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বরের শেষ দিকে ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনা যাবে। যদি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চান, তাহলে তাকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে। কিন্তু, তিনি চাইলে দেশের যে কোনও স্থানে চিকিৎসা নিতে পারবেন।’