রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
নিয়ামতপুর প্রতিনিধি:
নওগাঁর নিয়ামতপুরে সদরের প্রধান রাস্তা ঘেঁষে বসতেছে ভ্রাম্যমান দোকানপাট ও রাস্তায় অটোস্ট্যান্ডে কারণে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট আর এতে নাকাল মানুষ। নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না-থাকায় সড়কেই ওঠা-নামা করে যাত্রীরা। এতে দুর্ঘটনা বৃদ্ধির আশঙ্কার পাশাপাশি সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা।
স্থানীয় যাত্রীদের কাছে ‘অটোস্ট্যান্ড’ বলে পরিচিত নিয়ামতপুর উপজেলার মেইনগেট, তিনমাথা মোড় ও চৌরাস্তা মোড়। সড়কটি বাজারে প্রবেশের একমাত্র পথ। ব্যস্ততম এ সড়কের ওপরই অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে অটোস্ট্যান্ড। ফলে এলাকাটিতে যানজট লেগেই থাকে। একদিকে সড়কে নিয়ন্ত্রণহীন অটো ভ্যান অন্যদিকে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারীদের দাপট তো রয়েছেই। যানজটের কারণে গ্রাম থেকে রোগীরা সঠিক সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে পারছে না। এমনকি যখন যানজটের লাইন লম্বা হয়, তখন চৌরাস্তা ও তিন মাথা মোড় থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে ২০- ৩০ মিনিট লেগে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মালিক পক্ষের কাছ থেকে সড়কের পাশের দোকানগুলো ভাড়া নিয়ে ব্যবসায় করছে ব্যবসায়ীরা। অধিক মুনাফা লাভের আশায় দোকানের সামনে অংশটুকু ভ্রাম্যমান দোকানীদের কাছে ভাড়া দিয়েছে দোকানীরা। এসব ভ্রাম্যমান দোকান যখন রাস্তা ঘেঁষে বসে তখন রাস্তায় বড় গাড়ি এলে যানজটের লাইন লম্বা হয়।
বোডিং মার্কেটের সামনে প্রতিযোগিতামূলক ভাবে ভ্রাম্যমান দোকান বসাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এইসব দোকানীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ টাকা। এসব ভ্রাম্যমান দোকানীদের কাছ থেকে আবার সপ্তাহে দুই দিন সোমবার ও বৃহস্পতিবার নিয়মিত হাট কমিটির লোকজন চাঁদা আদায় করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রতিদিনই সড়কটিতে যানজট লেগেই থাকে। অটোস্ট্যান্ডের জন্য সুনির্দিষ্ট জায়গা না-থাকায় অন্যদিকে রাস্তার পাশে দোকানগুলো বসার কারণে যানজট লেগে থাকে। কর্তৃপক্ষের এ দিকে নজর দেয়া উচিত। এ ব্যাপারে নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ মোরশেদ বলেন, ভ্রাম্যমান দোকানগুলো ব্যাপারে হাট কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনা হয়েছে। খুব শিঘ্রই দোকানগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে।
সানশাইন/সোহরাব