বুধবার, ৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার : বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ফিরোজ আহম্মেদ (২৪) নামের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্র। এরপর বগুড়ার সদর মাটিঢালি এলাকায় বাসা ভাড়া করে ওই কলেজছাত্রী নিয়ে থাকতে শুরু করেন। এক দিন সেখান থেকে পালিয়ে যান ফিরোজ আহম্মেদ।
এমন অভিযোগে শনিবার বেলা ১২টার দিকে অভিযুক্ত ফিরোজের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই কলেজছাত্রী (২২)। অভিযুক্ত ফিরোজ আহম্মেদ রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার আলীপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান নেওয়ার পর অভিযুক্ত ফিরোজের বাড়ির লোকজন ওই কলেজছাত্রীকে তাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ি থেকে আগেই পালিয়ে যান ফিরোজ।
ওই কলেজছাত্রীর বাড়ি নাটোর জেলার লালপুর উপজেলায়। তিনি দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
কলেজছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, দেড় বছর আগে ফিরোজের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তিনি ফিরোজের সঙ্গে বগুড়া সদরের মাটিঢালি এলাকায় একটি বাসায় থাকেন। স্বামী–স্ত্রী পরিচয়ে তিন মাস সেখানে থাকেন তাঁরা। ফিরোজ তাঁকে তাঁর বাড়িতেও নিয়েছেন একাধিকবার।
কলেজছাত্রী বলেন, ‘আমার এলাকার সবাই ফিরোজকে জামাই হিসেবে চেনে। হঠাৎ ফিরোজ আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এখন তার বাড়িতে এসে দেখি ফিরোজ বিবাহিত। সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তার বাড়ির লোকজন আমাকে গায়ে হাত দিয়ে জোর করে বের দিয়েছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফিরোজের বাবা আব্দুল খালেক বলেন, ‘ছেলে বগুড়ায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করে। কিছুদিন আগে আমার ছেলেকে বিয়েও দিয়েছি। হঠাৎ আজ লালপুর উপজেলা থেকে এক মেয়ে আমার বাড়িতে আসে। পরে নিজ ইচ্ছেতেই আমার বাড়ি থেকে চলে গেছে। কেউ তাকে তাড়িয়ে দেয়নি।’
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, ‘দুপুরে ওই কলেজছাত্রী থানায় এসে কান্নাকাটি শুরু করে। পরে তার মুখ থেকে বিস্তারিত শুনে থানায় একটি অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’