রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা প্রথমার্ধেই সামনে নিল জার্মানি। দ্বিতীয়ার্ধে ছড়ি ঘোরালো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। গিনদোয়ান, ফুলকুর্গদের নৈপুণ্যে প্রীতি ম্যাচে বড় জয় পেল জার্মানি।
প্রাট অ্যান্ড হুইটনি স্টেডিয়ামে শনিবার রাতের প্রীতি ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে জার্মানি। ইলকাই গিনদোয়ান সমতা ফেরানোর পর নিকলাস ফুলকুর্গ ও জামাল মুসিয়ালার গোলে নিশ্চিত হয় ইউলিয়ান নাগেলসমানের দলের জয়।
প্রীতি ম্যাচে দুই দলের এর আগে সবশেষ দেখা হয়েছিল ২০১৫ সালে, সেবার কোলন থেকে স্বাগতিক জার্মানির বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
নিজেদের মাঠে অবশ্য সবশেষ দেখায় জার্মানির কাছে হেরেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৩ সালে ওয়াশিংটনে সাত গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে ৪-৩ ব্যবধানে জিতেছিল জার্মানরা। এবারও হারের পুনরাবৃত্তিই হলো।
শনিবার রাতে বলের নিয়ন্ত্রণে পিছিয়ে থাকলেও পোস্টে প্রথম আক্রমণ রাখতে সক্ষম হয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে টিম ওয়েহর শটে মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনকে পরীক্ষা নেওয়ার মতো গতি ছিল না। একটু পর জার্মানি শাণায় আক্রমণ। লেরয় সানে ও সের্জিনা দেস্তের লক্ষ্যভ্রষ্ট শটের পর নিকলাস ফুলকুর্গের শট আটকান যুক্তরাষ্ট্র গোলরক্ষক ম্যাট টার্নার।
২৭তম মিনিটে গোল পেয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। ফুলকুর্গের আক্রমণ ফিরিয়ে পাল্টা আক্রমণে ওঠে স্বাগতিকরা। বোলাগানের পাস ধরে তিন ডিফেন্ডারের পাহারা এড়িয়ে নিখুঁত বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক।
পিছিয়ে পড়া জার্মানি ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু সানের শট প্রতিহত হওয়ার পর ৩১তম মিনিটে ইলকাই গিনদোয়ানের ক্রসে আন্টোনি রুডিগারের হেডও হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।
আক্রমণাত্মক কৌশল ধরে রেখে ৩৯তম মিনিটে সমতায় ফিরে জার্মানি। বক্সে ঢুকে পড়া সানেকে আটকাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন টার্নার। দুরূহ কোণ থেকে শট না নিয়ে সানে বাড়ান গিনদোয়ানকে, কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ম্যানচেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার।
যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয়ার্ধে জার্মানির সামনে টিকতে পারেনি। তিন মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় নেয় তারা। ৫৮তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু বল ধরে দলকে এগিয়ে নেন ফুলকুর্গ। ৬১তম মিনিটে বাঁ পায়ের শটে ব্যবধান আরও বাড়ান মুসিয়ালা।