আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার অঙ্গীকার

নওগাঁ প্রতিনিধি: বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে পাঠিয়ে সুচিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নওগাঁয় গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করেছে দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপির নেতারা রাজপথের কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেন।
শনিবার বেলা ১১টায় নওগাঁ শহরের কেডির মোড় এলাকায় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ অনশন শুরু হয়। বেলা ২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলে।
কেডির মোড়ে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় কাপড় ও মাদুর পেতে বসে অনশন কর্মসূচি পালন করেন। বসার জায়গা না পেয়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে পশ্চিমে কেডির মোড় গোল চত্বর এবং দক্ষিণে কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক পর্যন্ত নেতাকর্মীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টা থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১০টা থেকেই নওগাঁ বিভিন্ন উপজেলা ও নওগাঁ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন।
কর্মসূচির চলাকালে শহরের অন্যতম প্রধান সড়ক ব্রিজের মোড়-ডিগ্রি কলেজ মোড় সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলায় ২টার দিকে জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল কাইয়ুম নেতাকর্মীদের পানি খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান।
অনশন চলাকালে নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিকের (নান্নু) সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সামসুজ্জোহা খান, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. ছালেক চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (ধলু), জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ, যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ রেজাউল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, মামুনুর রহমান (রিপন), শফিউল আজম (রানা), আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ফজলে হুদা বাবুল, পোরশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ মোজ্জাম্মেল।
বিএনপির নেতারা বলেন, সরকার মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে বলে উল্লেখ করে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধী দলের নেতা। তিনি দীর্ঘ ৯ বছর আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। আজ তাকে রাজনৈতিক ও মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায় দিয়ে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এটা চলতে পারে না। তিনি গুরুতর অসুস্থ, তার সুচিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। একজন নাগরিক হিসেবে সুচিকিৎসা পাওয়া তার মৌলিক অধিকার। কঠোর আন্দোলন ছাড়া দেশনেত্রীর মুক্তি সম্ভব নয়।’
তাারা বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আজ তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এই মূহূর্তে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসার প্রয়োজন। রাজপথের কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমেই তাকে মুক্ত করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।


প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৩ | সময়: ৭:১১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ