রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপের ১২তম ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আগামাী ১৪ অক্টোবর মাঠে নামবে চিরপ্রতিদ্বন্দী এই দুই দল। চরম উত্তেজনাকর ম্যাচটি উপলক্ষে মাঠকে ঘিরে উচ্চ-স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গুজরাট পুলিশ, এনএসজি, আরএএফ এবং হোম গার্ড সহ অন্য সংস্থার প্রায় ১১ হাজার সদস্য নিরাপত্তা বেস্টনি তৈরি করবে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামকে ঘিরে।
যদিও গত ২০ বছরে এ শহরে খেলা চলাকালীন সময়ে কোন ধরনের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। তবুও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে এ উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিসিসিআই। সুরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের সন্দেহজনক স্থানগুলোতে নিয়োজিত করা হবে। আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জি এস মালিক এ তথ্য জানিয়েছেন। গত ৯ অক্টোবর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষসাংঘভি, রাজ্য পুলিশের ডিজি বিকাশ সহায় ও আহমেদাবাদ নগর পুলিশ কমিশনার জিএস মালিকসহ অন্য সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকের পরে একটি সংবাদ সম্মেলনে মালিক বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তাজনিত বিষয়টি পরীক্ষা-নীরিক্ষা করছেন। যাতে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে না পারে সেজন্য তিনি পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থান নিতে বলেছেন।’
তিনি জানিয়েছেন, স্টেডিয়ামের সুরক্ষা নিশ্চিতে থাকছে ৭ হাজার পুলিশ বাহিনীর সদস্য। এছাড়া শহরের যেসব এলাকায় সাম্প্রদায়িক সংঘাতের শঙ্কা রয়েছে সেসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রায় ৪ হাজার হোম গার্ড মোতায়েন করা হবে। এসব সদস্যের পাশাপাশি তিনটি ‘হিট টিম’ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে এনএসজি’র একটি ড্রোন-বিরোধী দল রয়েছে। বোমা সনাক্তকরণ এবং নিষ্ক্রিয়করণ স্কোয়াডের নয়টি দলও ব্যবহার করা হবে।
এর আগে ই-মেইলের মাধ্যমে মুম্বাই পুলিশকে হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে । একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির ই-মেইল থেকে পাঠানো বার্তায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে আহত এবং স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। তবে জিএস মালিক বলেছেন, এ ধরনের হুমকি ‘মূল্যায়ন’ করা হয়েছে এবং সিটি পুলিশ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভালভাবে প্রস্তুত।