সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার : বরেন্দ্র অঞ্চলের পানির অধিকার ও জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে প্রবীণবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ কর্মসূচিতে প্রবীণরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মসূচি থেকে নিরাপদ সুপেয় পানির দাবি ছাড়াও প্রবীণদের বিনোদনের ব্যবস্থা ও প্রবীণবান্ধব তথ্য প্রযুক্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
রবিবার সকালে রাজশাহীর পবা উপজেলার বিলনেপালপাড়া বাজারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বরেন্দ্র অঞ্চল জনসংগঠন ফোরাম ও উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারিসক যৌথভাবে প্রবীণবন্ধন কর্মসূচি পালন করে। প্রবীণদের পাশাপাশি এতে বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ সংহতি জ্ঞাপন করেন। স্থানীয় প্রবীণব্যক্তি আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে প্রবীণরা তাদের পানির অধিকার, জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিগুলো তুলে ধরেন। একই সঙ্গে পানি নিয়ে রাজনীতি না করার দাবি জানানো হয়।
এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নুরুন্নেছা নামের ৭১ বছরের নারী বলেন- জলবায়ু তহবিলে অনেক বড় বড় ফান্ড আসে, কিন্তু সেগুলো প্রবীণদের জন্য ব্যবহার হয়না বা তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়না, অথচ জলবায়ু পরিবর্তনে প্রবীণরা বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছি। ওয়াহাব উদ্দিন নমের একজন প্রবীণ বলেন, তীব্র তাপদাহ মাত্রাতিরিক্ত শীতে রোগবালাই বেড়ে গেছে। গ্রীষ্মে কিংবা শীতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা প্রবীণদের। তিনি দাবি করেন, সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে প্রবীণদের সেবা দেবার জন্য আলাদা সেল থাকা উচিত, যাতে প্রবীণরা আলাদা সুযোগ পায়।
কর্মসূচিতে সংহতি জ্ঞাপন করেন বারসিক’র গবেষক ও আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম। তিন বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রবীণরা দিনে দিনে অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বৈশি^ক জলবায়ুর আঞ্চলিক অভিঘাতের কারনে বরেন্দ্র অঞ্চলে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, যার কারেন এখানে তীব্র দাপদাহ, অনাবৃষ্টি এবং তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। এর বড় ভুক্তভোগী হচ্ছেন প্রবীণরা। অথচ জলবায়ু তহবিল থেকে প্রবীণদের জন্য আলাদা কোন বরাদ্দ নাই। তিনি প্রবীণদের মতো করে পানি ব্যবস্থাপনা এবং তাদের দাবিগুলো পূরণে সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহবান জানান।