সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর চারঘাটের শিবপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মনজুরের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট এর ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। ব্যবসায়ী মনজুর রহমান থানায় মামলা করতে গেলে তার মামলা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মনজুরকে হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে। এই অবস্থায় ব্যবসায়ী মনজুর ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস করছে।
এলাকার একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভাটা ব্যবসায়ী মনজুরের কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে তারা গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১১ টায় দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ব্যবসায়ী মনজুরের বসতবাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
হামলাকারীরা তার বাড়ি থেকে নগদ ৫ লাখ টাকা ও সমমূল্যের সোনার গহনা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মনজুর চারঘাট থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দেয়। পরে মনজুর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালতে রাজশাহীর অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ ২৫ /৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি পি বি আই কে তদন্তের নির্দেশ দেন। ভাটা ব্যবসায়ী মনজুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ওই এলাকার ফজলুর রহমান ও তার ছোট ভাই আকবর ভাটাতে এসে মনজুরের কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করেছিল। চাঁদার দিতে অস্বীকার করায় তারা তাকে (মনজুর) কে গালিগালাজ করে এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।চাঁদা না দেওয়ার কারণে ফজলুর ও তার ছোট ভাই আকবর মনজুরকে নানা ভাবে নিপিরণ করে। ব্যবসায়ী মনজুর আরো জানান ২০২১ সালে অভিযুক্তদের সাথে ওই এলাকায় বেশ কয়েকটা ভাটার মালিক ও শ্রমিকদের মারামারির ঘটনাও ঘটেছিল। সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। ব্যবসায়ী মনজুর এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় হতাশ। এদিকে ব্যবসায়ী মনজুর রহমান রাজশাহী প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।