মঙ্গলবার, ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য প্রাথমিক দল আজ-কালকের মধ্েয দিয়ে দেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবি দল চূড়ান্ত করবে এশিয়া কাপ ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের পর। নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
আইসিসির গাইডলাইন অনুযায়ী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্েয বিশ্বকাপের একটি দল দিতে হবে। সেই দলে পরিবর্তন আনা যাবে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপরেও টেকনিক্যাল কমিটির অনুমতিপূর্বক যখন খুশি দল পরিবর্তন সম্ভব।
বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। বিসিবি সভাপতি অনেকবারই বলেছেন, এশিয়া কাপের দলই যাবে বিশ্বকাপে। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে যে দল খেলছে সেই দলের মধ্েযও কাঁটছাঁট হবে। তামিম ইকবাল নিউ জিল্যান্ড সিরিজ ও বিশ্বকাপ খেলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। লিটন দাস জ্বর থেকে সুস্থ হয়েছেন। তাদেরকে বিশ্বকাপ দলে রাখতে হবে তা অনুমিতভাবেই। এছাড়া ইবাদত হোসেন ছিটকে গেছেন। প্রাথমিক পরিকল্পনায় ছিলেন এই ডানহাতি পেসারও। ফলে এশিয়া কাপের দল থেকে যে পরিবর্তন হবে তা অনুমিতই।
নাজমুল হাসানের কণ্ঠেও তা উঠে এলো, ‘আমাদের একটা পরিকল্পনা ছিল। আমরা ওই পরিকল্পনা প্রয়োগে যেতে পারিনি। এশিয়া কাপে কথা ছিল তামিম ও লিটন দাস ওপেন করবে। ওরা তো নেই। এখন ১৫ জনের দল পাঠাতে হয়…ওরা এখন পর্যন্ত সুস্থ না। কেউ তো ফিট বলে আমরা খবর পাইনি। ওদের বাদ দিয়ে দল পাঠাবো? সেটা তো সম্ভব না। চ্যালেঞ্জটা আপনাকে বুঝতে হবে।’
শুধু এশিয়া কাপের ১৭ জনকে নিয়েই নয়, বিসিবির চিন্তা আছে বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়েও। বিশ্বকাপের জন্য তামিম, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক, জাকির, সাইফ, তাইজুলরা প্রস্তুত হচ্ছেন। সব মিলিয়ে খেলোয়াড় সংখ্যা ২৫ জন। তাদের থেকেই বেছে নিতে হবে সেরা ১৫ জনকে।
‘ওখানে আছে ১৭ জন। হিসাব করতে বলছি। এখানে আছে ৬ জন। এরা প্রত্যেকে সামর্থ্যবান। এরমধ্যে তামিম ও লিটন ঢুকবে। তাহলে কত হলো ২৫। ওখান থেকে ১০ জন বাদ দেন। কাকে বাদ দেবেন? মানে এটা সহজ না। যারা পারফর্ম করছে, ভালো করছে তাদের বাদ দিয়ে দেব? এখনই যে দিতে হবে তা না। এখন যেটা দিতে হবে লজিস্টিকের কারণে। কিন্তু মূল দল দিতে হবে আমি যতটুকু জানি ২৭ তারিখ। আমরা তখনই দিব আমাদের মূল স্কোয়াড। আমরা মূল স্কোয়াড দিবৃনিউ জিল্যান্ড সিরিজটা দেখব। যারা নাকি এখানে আছে তারাও সুযোগ পাবে।’ যোগ করেন নাজমুল হাসান।
সুপার ফোরে উঠায় এশিয়া কাপে আরও তিনটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ফাইনালে উঠলে যোগ হবে আরও একটি। ১৭ সেপ্টেম্বর হবে ফাইনাল। সেদিনই ঢাকায় পা রাখবে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট দল। ২১ সেপ্টেম্বর মিরপুরে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। ২৩ ও ২৬ সেপ্টেম্বর বাকি দুই ম্যাচও হবে মিরপুরে।