রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা: রাজশাহীর বাগমারায় পল্লী বিদ্যুতে ভয়াবহ বিপর্জয় দেখা দিয়েছে। ভাদ্র মাসের প্রখর রোদ আর অসহনীয় গরমে এলাকায় ব্যাপক লোড শেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠিত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের কারণে চরম দূুর্ভাগে রাত কাটাচ্ছেন ছোট শিশু ও বৃদ্ধরা।
জানা গেছে, গত প্রায় একমাস যাবত নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ এর বাগমারা জোনাল অফিসের আওতায় দিনে রাতে বিদ্যুৎ খুবই কম থাকছে। রাতের বেলা এই দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। এখানে কথিত একটি ভিআইপি সহ দুইটি লাইন রয়েছে।
উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ পৌর সভা এলাকা ও বাগমারা থানাসহ গোপালপুর এলাকা নিয়ে গঠিত ভিআইপি ফিডার। বাকি উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে চলে সাধারণ ফিডার নামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। সমান সংখ্যক বিদ্যুৎ বিল বিতারণ ও আদায় কাজ হলেও সাধারণ ফিডারের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের প্রতি অনেকটা বিমাতা সুলভ আচারণ করা হয় বলে ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন।
বর্তমানে সন্ধ্যার পর এক টানা কয়েক দফা বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ে এলাকাবাসী অতিষ্ঠিত হয়ে পড়েছেন। ভাদ্র মাসের তালপাকা গরমে বিদ্যুৎ না পেয়ে সকল স্তরের জনসাধারণ দিনে-রাতে চরম বেকায়দায় দিন যাপন করছেন।
এদিকে ভুক্তভোগিদের দাবি অনিয়মতান্ত্রিক বিদ্যুৎ কাটচুপি করে স্থানীয় অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সমিতিতে খ্যাতি অর্জন করছেন। একাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক অভিযোগ করে জানান, সমিতির বিদ্যুৎ কম খরচ দেখাতে পারলে নাকি তাদের সন্মানীত করা হয়। অফিসে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে এমন প্রবণতায় এলাকার গ্রাহকরা নিয়মিত বিদ্যুৎ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে দাবি করা হয়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বাগমারা জোনাল কার্যালয়ের ডেপুটি জেলারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মিনারুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ চাহিদা মোতাবেক না পাওয়ায় বিদ্যুতে লোড শেডিং দেয়া হয়।
এছাড়া সাবস্টেশনে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ধারণ কম থাকায় পরিমিত বিদ্যুৎ সাপ্লাইয়ে সমস্যার কথা বলেন। তিনি বিদ্যুৎ কাটচুপি করে স্থানীয় অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সমিতিতে খ্যাতি অর্জন করার কথা অস্বীকার করেন।