বৃহস্পতিবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: চোটের ছোবলে শ্রীলঙ্কার বোলিং বিভাগের নাজেহাল অবস্থা। কয়েকজন ছিটকে গেছেন আগেই। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও লাহিরু কুমারাকে নিয়েও ছিল শঙ্কা। শেষ পর্যন্ত তাদের নিয়েও মেলেনি কোনো সুখবর। অনেকটা সময় অপেক্ষা করে অবশেষে এশিয়া কাপ শুরুর আগের দিন এই দুই ক্রিকেটারকে ছাড়াই দল ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা।
পাকিস্তানে ওয়ানডে সংস্করণের এশিয়া কাপের পর্দা উঠছে বুধবার। এর জন্য যে ১৫ সদস্যের দল দিয়েছে লঙ্কানরা, সেই তালিকায় তাদের মূল বোলারদের কেউ নেই বললেই চলে। পেশির চোটে দুই পেসার দুশমান্থ চামিরা ও দিলশান মাদুশানকা যে খেলতে পারবেন না, নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। তাদের সঙ্গে ছিটকে পড়ার তালিকায় যোগ হলো আরেক পেসার কুমারা ও লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার হাসারাঙ্গা।
২৬ বছর বয়সী কুমারা ভুগছেন সাইড স্ট্রেইন চোটে। আর হাসারাঙ্গা লড়ছেন ঊরুর চোটের সঙ্গে। কুমারা, চামিরা ও মাদুশানকার অনুপস্থিতিতে দলে ডাক পেয়েছেন বিনুরা ফার্নান্দো ও প্রামোদ মাদুশান। বাঁহাতি পেসার ফার্নান্দো ক্যারিয়ারের ৪ ওয়ানডের সবশেষটি খেলেছেন ২০২১ সালে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আর ডানহাতি পেসার মাদুশানের একমাত্র ওয়ানডেটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, ২০২২ সালে।
দলে জায়গা পাওয়া বিশেষজ্ঞ পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৪ ওয়ানডে খেলেছেন কাসুন রাজিথা। মাথিশা পাথিরানার অভিজ্ঞতা কেবল ৪টি ওয়ানডে খেলার। হাসারাঙ্গার চোট সুযোগ করে দিয়েছে দুশান হেমান্থাকে। এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার শ্রীলঙ্কার হয়ে এখন পর্যন্ত দুটি ওয়ানডে খেলেছেন। সবশেষটি গত জুলাইয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
দলে থাকা বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার দুনিথ ওয়েলালাগে খেলেছেন ৯ ওয়ানডে। আর ২২ ওয়ানডের অভিজ্ঞতা অফ স্পিনার মাহিশ থিকশানার। দুই বছরের বেশি সময় পর ওয়ানডে দলে ফিরেছেন কুসাল পেরেরা। এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে ১০৭ ওয়ানডে খেলেছেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান, যার সবশেষটি ২০২১ সালের জুলাইয়ে। গত সপ্তাহে কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়া এই ক্রিকেটার সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে শ্রীলঙ্কার এশিয়া কাপ অভিযান। ‘বি’ গ্রুপে তাদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ আফগানিস্তানের সঙ্গে, ৫ সেপ্টেম্বর। এশিয়া কাপের শ্রীলঙ্কা দল: দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), পাথুম নিসানকা, দিমুথ কারুনারত্নে, কুসাল মেন্ডিস, কুসাল পেরেরা, ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা, চারিথ আসালাঙ্কা, সাদিরা সামারাউইক্রামা, দুনিথ ওয়েলালাগে, মাহিশ থিকশানা, মাথিশা পাথিরানা, কাসুন রাজিথা, দুশান হেমান্থা, বিনুরা ফার্নান্দো, প্রামোদ মাদুশান।