সোমবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর দুর্গাপুরে ১১ বছর বয়সি ছোট বোনের বিয়ে ঠোকতে থানা পুরিশের দ্বারস্থ হতে হলো বড়ভাইকে। তার জানে আলম জনি। শুক্রবার সকালে থানায় গিয়ে জনি তার বোনের বিয়ে ঠেকাতে পুলিশের সহায়তা চেয়েছেন।
জনি জানায়, তার ছোট বোনের বয়স ১১ বছর। এখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। এই বয়সে বোনের বিয়ের প্রাথমিক কথাবার্তা হয়ে গেছে। জনি কোনোমতেই মা-বাবাকে বোঝাতে পারেননি বাল্যবিবাহ দেওয়া ঠিক নয়। শুক্রবার বরপক্ষের বাড়ি থেকে মেহমান এসে বিয়ের আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা পাকা করার কথা। তাদের আপ্যায়নের পুরো প্রস্তুতিও নেওয়া শেষ। উপায় না পেয়ে জনি হাজির হয়েছেন থানায়। রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর এলাকার চৌবাড়ীয়া মাঝিপাড়া গ্রামের ঘটনা এটি।
জনি জানান, মা-বাবাকে নানাভাবে বুঝিয়েও বোনের বাল্যবিবাহের প্রস্তুতি ঠেকাতে পারছেন না তিনি। ঘটকের সঙ্গে যোগসাজশে তার বোনকে মধ্যবয়সি এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই নিজেই বোনের বিয়ে ঠেকাতে সকালে থানায় দ্বারস্ত হয়েছেন।
থানায় অভিযোগ করতে আসা জনি বলেন, আমার একটাই বোন। প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম নামের ঘটকের প্রলোভনে মা ও বাবা আমার ছোট্ট বোনকে একটা বয়স্ক মানুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। আমি ভাই হয়ে কিছুতেই এ বিয়ে ঠেকাতে পারছি না। তাই বাধ্য হয়ে বোনের বাল্যবিয়ে ঠেকাতে থানায় হাজির হয়েছি।’
জনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরের পর আমার বোনের ইনগেজমেন্ট হওয়ার কথা। বরপক্ষের লোকজনদের খাওয়া-দাওয়ারও আয়োজন করা হয়েছে। এত অল্প বয়সে বোনের বিয়ে দেওয়া যাবে না। এটা কিছুতেই বোঝাতে পারছি না মা-বাবাকে। আমি আমার বোনকে লেখাপড়া করাতে চাই।
দুর্গাপুর থানার ডিউটি অফিসার খুরশীদা বেগম বলেন, বোনের বাল্যবিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগ নিয়ে থানায় এসেছেন তার ভাই। অভিযোগটি নেওয়া হয়েছে। বাল্যবিয়েটি ঠেকানো হবে।