রবিবার, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ইং, ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বং।
স্টাফ রিপোর্টার, চারঘাট: রাজশাহীর চারঘাটে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতার ভয়ঙ্কর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দুই যুবক। যাদের একজনকে নির্যাতন করে হাত ভেঙে দেয়া হয়েছে। অপরজনকে হাত-পা বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে রেখে নির্যাতন করা হয়। মুলত মাদক ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ নির্যাতন করা হয়। ঘটনাটি মাস খানেক আগের বলে জানান এলাকাবাসী।
নির্যাতনের শিকার যুবকরা হলেন, শলুয়া ইউনিয়নের কানুজগাড়ি গ্রামের আবু বক্করের ছেলে নুর মোহাম্মদ পলক (১৮) ও তার খালাতো ভাই একই গ্রামের সৈকত আলীর ছেলে শাকিল রহমান (২০)। এদের মধ্যে পলককে মাটিতে পুঁতে এবং পরে হাত-পা বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে রেখে নির্যাতন করা হয়। আর শাকিলকে চোঁখ-মুখ বেঁধে পিটিয়ে নির্যাতন করে হাত ভেঙে দেয়া হয়।
এলাকাবাসী জানায়, গত একমাস আগে মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী একাধিক মাদক মামলার আসামী মুক্তাসহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ শুভর নেতৃত্বে একদল যুবক পলককে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে। এরপর বামনদিঘী এলাকায় একটি পুকুরের পানিতে হাত-পা বেধে ফেলে রাখে। এসময় তারা পলকের নির্যাতনের ভিডিও ধারন করেন।
এছাড়াও পলকের খালাতো ভাই শাকিলকে রাজশাহীর চৌদ্দপাই এলাকা থেকে ধরে এনে ব্যাপক নির্যাতন করে। এতে শাকিলের হাত ভেঙ্গে যায়। এ বিষয়ে গত শনিবার সকাল থেকে পলককে পানিতে ডুবিয়ে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
সেখানে দেখা যায়, পলককে পানিতে ডুবিয়ে নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি পুকুরের হাটু পানিতে হাত-পা বেঁধে পলককে ফেলে রাখা হয়েছে। পানির মধ্যে একটি খুটির সঙ্গে তাকে বেঁধে রাখা হয়। মাঝে মাঝে চেষ্টা করে মাথা তুলে শ^াস নিচ্ছে। আর পাশে একজন দাঁড়িয়ে দেখছে এবং আরেকজন স্বীকারোক্তি আদায় করার ভিডিও করছে।
নির্যাতনকারি ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল ওয়াদুদ শুভ শলুয়া গ্রামের সাজেদুর রহমানের ছেলে। তার সহযোগিরা হলেন, শলুয়া গ্রামের সইমুদ্দির ছেলে সাব্বির, আনজু আলীর ছেলে মুক্তা ও রমজান আলীর ছেলে লালন। এরা সবাই মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত আব্দুল ওয়াদুদ শুভর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বলেন, ঘটনাটি প্রায় একমাস আগের। এ বিষয়ে থানায় একটি জিডি করে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত মুক্তাসহ তার সহযোগীদের নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।