রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
নুরুজ্জামান,বাঘা :
রাজশাহীর বাঘা-চারঘাট থেকে নির্বাচিত সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন,শতাব্দী থেকে শতাব্দী ধরে মানুষের সব জ্ঞান জমা হয়ে আছে বইয়ের ভেতরে। অন্তহীন জ্ঞানের উৎস হলো বই, আর সেই বইয়ের আবাসস্থল হলো পাঠাগার।
শনিবার (১৯-আগষ্ট )বঙ্গমাতার নামে বাঘার আড়ানী পৌর এলাকায় একটি পাঠাগার এর শুভ উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি জাতির পিতার সহ-ধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর নামে আরো ছয়টি পাঠাগার স্থাপন করে স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষা অনুরাগীদের কাছে প্রশাংসা অর্জন করেন।
সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইমরান আলীর সঞ্চলনা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন,শুধু পাঠ্যপুস্তক অধ্যয়নে সীমাবদ্ধ থাকলেই চলবে না। পাঠ্য বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের বর্হিজগতের বিয়ষ সম্পর্কে জ্ঞান আহরণেরও চেষ্টা করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যার মধ্যে জ্ঞানের পিপাসা রয়েছে তার জন্য পাঠাগার। এটি ছিল বাংলার জনক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাঝে। তিনি বলেন,বঙ্গমাতার খুব বেশি পুথিগত বিদ্যানেই। কিন্তু বর্তমানে পুরুষদের চেয়ে শিক্ষা-দিক্ষায় নারীরা এগিয়ে।
শাহরিয়ার আলম এই শোকের মাসে জাতির পিতা সহ সকল শহীদদের আত্নার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর মধ্যে ছিলো দেশ প্রেম। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভাষা অনুবাদ করলে দেখা যায়, প্রায় সব দেশেই বঙ্গবন্ধুর নীতি নৈতিকতা ও কর্মকান্ড নিয়ে স্মৃতি চারণ করে গেছেন। বিশেষ করে ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত তিনি ছিলেন-আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। মন্ত্রী বলেন, মানুষের পেটের ক্ষুধার চেয়ে কাগজ-কলমের ক্ষুধার গুরুত্ব অনেক বেশি।
এর আগে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, আড়ানীর কৃতিসন্তান ও সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব শফিকুল ইসলাম মুকুট। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মানুষের বই পড়ার আগ্রহ থেকেই গ্রন্থাগারের উৎপত্তি। গ্রন্থাগার একটি জাতির বিকাশ ও উন্নতির বড় উৎস। পাঠাগার মানুষের বয়স, রুচি ও চাহিদা অনুযায়ী বই সরবরাহ করে থাকে। গ্রন্থাগারের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠে সংহতি, যা দেশ গড়া কিংবা রক্ষার কাজে অমূল্য অবদান। তিনি এই পাঠাগারটিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান এবং বঙ্গমাতার নামে বাঘায় একাধিক পাঠাগার স্থাপনের জন্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অত্র এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী বুলবুল আহাম্মেদ, অবস্বরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং বিশিষ্ট কবি মোবারক হোসেন,বাঘা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ.ফ.ম মাহমুদুল ও স্থানীয় শিক্ষক জুয়েল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন, বাঘা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মো: জুয়েল আহাম্মেদ,নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা খাতুন লতা ,আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী,উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লা সুলতান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহামুদুল ইসলাম-সহ শিক্ষার্থী এবং সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
সবশেষে এ বছর এস.এস.সি পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি মার্ক পেয়ে জি.পি-এ ৫ পাওয়া ১১ জন কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এর আগে তিনি আড়ানীতে অবস্থিত তাঁর নিজ বাসভবনে অসহায় গরিব দু:খি ২৫ জন মানুষের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ করেন।
সানশাইন/সোহরার