সোমবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
মাহফুজুর রহমানর প্রিন্স, বাগমারা: উপজেলার নদ-নদী ও খালে বিলে সর্বত্র চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে বোয়াল, রুই, কাতলা, মৃগেল সহ নানান দেশী প্রজাতির পোনা মাছ শিকার করে বাজারে অবাধে বিক্রি চলছে। নিষিদ্ধ এই জাল দিয়ে পোনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন আকারের মাছ ধরায় ইতিমধ্যেই উপজেলার নদী ও অন্যান্য প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো অনেকটাই মৎসশূন্য হয়ে পড়েছে।
বাজারে এখন পোনা বা ছোট আকারের দেশি মাছ মিললেও স্বাভাবিক আকারের দেশি মিলছে না বললেই চলে। বাজারে দেশি মাছ না পেয়ে ক্রেতারা বিদেশী পাঙ্গাস, মাগুর, কই সহ সিলভারকার্প জাতীয় মাছ কিনছেন।
উপজেলা মৎস দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাগমারা উপজেলায় তিনটি নদনদী সহ প্রাকৃতির ভাবে প্রচুর খালবিল রয়েছে। এসব জলাশয়ে একসময় প্রচুর মাছ থাকলেও এখন বিভিন্ন কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি জালের কারণে মাছের বিচরণ অনেকটাই কমে গেছে। এসব জালে মাছ ছাড়াও কাঁকড়া, কুঁইচা, ব্যঙ, সাপ সহ নানান জলজ প্রাণী মারা পড়ার কারণে প্রাকৃতির বিপর্যয়ের আশংঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় একটি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক এসএম কাদরী বলেন, বাগমারার খাল-বিল নদ-নদী এমন সময় মাছে ভরপুর ছিল। অথচ চায়না দুয়ারি জালের জন্য নানান জাতের দেশি মাছ অনেকটা হারিয়েই যেতে বসেছে। প্রতিদিনই বাজারে পোনা মাছ এসে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, চায়না দুয়ারী জালের কারণে আজ দেশি মাছ অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছে। আমার অফিসে কম লোকবল সত্বেও এসব জালের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। এরই মধ্যে বেশ কিছু জাল আটক ক ও ধ্বংস করা হয়েছে।
তার মতে এই জাল ব্যবহারকারীরা খুবই চালাক চতুর। এজন্য এলাকাবসীর উচিত এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আমাদের তথ্য দেওয়া। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সুফিয়ান বলেন, নিষিদ্ধ এই জালের বিরুদ্ধে আমরা সবসময় তৎপর। অভিযান চলমান রয়েছে।