শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, নাটোর: নাটোরে স্কুল পড়ুয়া এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ মামলার রায়ে সুমন আলী নামে এক যুবকের ফাঁসি ও তার দুলাভাইয়ের আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
রোববার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন। আদেশে শ্যালক সুমন আলী (২৬) দোষী প্রমাণীত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদন্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং তার দুলাভাই রফিকুল ইসলামকে (৪৩) আমৃত্যু সশ্রম কারাদন্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানার টাকা অপহৃতা কিশোরীকে প্রদান করতে বলা হয়েছে। মামলার অভিযুক্ত অপর চার জনের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দিয়েছেন। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত সুমন আলী জেলার লালপুর উপজেলার পোকন্দা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। তার দুলাভাই রফিকুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ জেলার তারাশ উপজেলার ধানকুন্টি গ্রামের আফসার আলীর ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলার লালপুর উপজেলার পোকন্দা গ্রামের বেলাল শিকদারের স্কুল পড়ুয়া কিশোরী মেয়েকে (১৫) ২০১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে অপহরণ করে সিরাজগঞ্জে নিয়ে যায়। এ সময় অপহরণকারীরা বাড়ি থেকে বেশ কিছু নগদ টাকা ও সোনার গহনা নিয়ে যায়। অনেক দেন দরবার করার পরও মেয়ে এবং টাকা গহনা ফেরত না দেওয়ায় বেলাল শিকদার লালপুর থানায় দন্ডপ্রাপ্ত দুইজনসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো দুই-তিন জনের নামে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ স্কুল পড়ুয়া অপহৃতা কিশোরীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে তাকে নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়। মামলার ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রোববার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন। রায়ের সময় মামলার ৬ আসমী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বাদী বেলাল শিকদার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী শহীদুল ইসলাম নোমান বলেছেন, দন্ডপ্রাপ্তরা রায়ে সন্তুষ্ট নয়, তাই তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।