শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা: অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর রাজশাহীর বাগমারাসহ তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় সোমবার বিকেল হতে স্বস্থির বৃষ্টি নেমেছে। দীর্ঘ দুই থেকে আড়াই মাস পর এমন স্বস্তির বৃষ্টিতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। গতকাল বিকেল হতে রাত পর্যন্ত এক রকম ভারি বৃষ্টিতে এলাকার কৃষি ফসলের ব্যাপক উপকার হয়েছে বলে কৃষকরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, বাগমারা এলাকায় ধান, পাট, পান, পেঁয়াজ, আলু, গম, মরিজ, ভুট্রা ও সবজি চাষ হয়। তবে এলাকায় বেশী ভাগ জমি উচুঁনিচু এখানে বিভিন্ন ফসলের চাষ হলেও ধানই প্রধান। এবারে মওসুমের উড়তি রোপা-আমন ধান ফসলের মাঝামাঝি সময় বৃষ্টির দেখা মিলেনি। দেশের অন্যান্য এলাকায় বর্ষা-বন্যা হলেও এলাকায় বৃষ্টি নেই।
দীর্ঘ খরায় ধান, পাট, মরিচসহ সবজি ফসলের সেচ উপযোগী সময়কাল গুণছে কৃষক। সাধারণত এসময়ে প্রচুর বৃষ্টি হয়। গত ৪-৫ দিন ধরে এলাকায় আকাশে মেঘ থাকলেও বৃষ্টি হয়নি। শুধু দেখা গেছে আকাশে কুয়াশার মতো ধোঁয়াশা। এমন সময়ে গতকাল বিকেলে ভারি ধরনের বৃষ্টিতে কৃষকদের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে। এলাকার অধিকাংশ জমির ফসল বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল। ধানচাষে বৃষ্টি না পেয়ে কৃষকদের মধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছিল। কিছু জমি সেচ দিয়ে ধান চাষ করলেও অধিকাংশ জমি পড়ে আছে কৃষকদের। চাষকৃত ধানচাষে পানিতে সেচ কাজে অতিরিক্ত টাকা লাগছে। এমন সময় বৃষ্টিতে অনেকটা কৃষকের কষ্টের লাঘব কমছে।
দ্বীপনগর গ্রামের কৃষক আমরাপুল ইসলাম, মজিবর রহমান, আব্দুল মান্নানসহ অনেকে জানান, এমন বৃষ্টিতে এলাকায় ব্যাপক উপকার হয়েছে। বৃষ্টির পানি হবার কারণে অন্তত ১৫ দিন ২০ দিন ধান, মরিজ, সবজিতে সেচ প্রয়োজন হবে না। জমিতে জমিতে পানি জমে আছে।
এছাড়া নরম আবহাওয়ার কারণে ধান গাছের চেহারার পরিবর্তন হয়েছে। এতে করে রোপা-আমন ধানের ফলন হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন। একই ভাবে পান বরজ, ভূট্রা, ও মরিজ চাষে ব্যাপক উপকার হয়েছে বলে তারা জানান। তবে এখনো বৃষ্টির অভাবে অনেক জমি পড়ে আছে। এসব জমিতে নমলা করে ধানচাষ করণে কেমন ফলন হবে এ নিয়ে কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, দীর্ঘ খরায় ধান, পান, মরিজ ক্ষেত তেমন শক্তি হয়নি। এই বৃষ্টিতে বহু পরিমান উপকার এসেছে। এতে করে ফসলের বাড়তি শক্তি বৃদ্ধি পাবে তেমনি সবজি ও মরিজ ক্ষেতের পানির চাহিদাও কমে যাবে।
এছাড়া বৃষ্টির পানির অফুরান্ত উপকারে ফসলের রোগ বালাই দমনে বেশী লাভবান হবে। একইভাবে বলেন, পড়ে থাকা জমিতে এখনো ধান লাগানো যাবে। তবে চারা গুলো কম বয়সের হতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।