সর্বশেষ সংবাদ :

তানোরে শোকের মাসে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নাচ গান

তানোর প্রতিনিধি :
রাজশাহীর তানোরে শোকের মাসে ও শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মদিনে অশ্লীল নাচ গান করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দুপুরের আগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঘটে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি। নাচ গানের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে অফিস পাড়ায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে, সেই সাথে শিক্ষার্থীদের এমন কার্যক্রমে শিক্ষক মহলেও দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ, বিরাজ করছে নানা প্রতিক্রিয়া।

জানা গেছে, তানোর পৌর সদরে কাইসার আহম্মেদ মুক্তার হোসেন নামের এক ব্যক্তি তানোর পৌর সদর গোল্লাপাড়া বাজারে মৃত আলহাজ্ব আব্দুল জলিল ওরফে হাজি মার্কেটে বিগত ৪-৫ বছর ধরে মুক্তার আইসিটি নামক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। সেই প্রতিষ্ঠানের এইচএসসি ব্যাচের বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন কাইসার হোসেন মুক্তার। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা গান বাজনা ও নাচ এবং মহিলা শিক্ষার্থীরা পুরুষ শিক্ষার্থীদের চুমু দেয়া শুরু করেন।

 

 

 

কাইসার হোসেন মুক্তা বলেন, নাচ গান শুরু হলে ইউএনও স্যার নিষেধ করা মাত্রই নাচ গান বন্ধ করে দেয়া হয়। শোকের মাসে এধরণের নাচ গান করা যায় কিনা জানত চাইলে তিনি জানান আমার জানা ছিল না, স্যার বলার পর সাথে সাথে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে দায় সারেন তিনি। শিক্ষক সমিতির সভাপতির চাপড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান বলেন, শোকের মাসে শিক্ষার্থীদের অশ্লিল নাচ গান কাম্য না। তারা ভবিষ্যত প্রজন্ম তাদের কাছে এধরনের অশ্লীলতা শোভা পায় না। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, শোকের মাসে শিক্ষার্থীদের এমন নাচ গান ধিক্কার জনক ঘটনা । আমি অফিসে যায় নি, গিয়ে খোঁজ খবর বা মাসিক মিটিংয়ে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে অবহিত করব। ফেসবুকে অশ্লীল নাচ গানের ভিডিও দেখার পর ওয়াদুদ জামান নামের একজন লিখেন, এসব লজ্জা। গফ ঘধুসঁষ ঐধয়ঁব লিখেন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি আরো লিখেন এদের ভাড়া দিল কে। মুক্তা নামক আইসিটিকে তাড়াতে হবে।

 

 

 

আলমগীর আলমগীর নামের একজন লিখেন, এরে আল্লাহ কি কথা। শিক্ষক ও অভিভাবক মহল ক্ষোোভ প্রকাশ করে বলেন, শোকের মাস, পুরো মাস জুড়ে নানান সভা দোয়া ও খাবার বিতরণ করে থাকেন শহীদদের আত্মার মাগফিরাতের জন্য। আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর ভবিষ্যত তারা যদি শোকের মাস সম্পর্কে না বুঝে তাহলে এর চেয়ে লজ্জাজনক বিষয় আর কি হতে পারে। যে প্রতিষ্ঠান একাজ করেছে সে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। একটা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান কে ভাড়া দিয়ে এধরনের অশ্লীল কাজ করার কোন এখতিয়ার নেই।
শুধু নাচ গান না ছেলে মেয়েদের চুম্মন দেয়ার মত ঘটনার জন্ম দিয়েছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিল্লাল হোসেন বলেন, নাচ গানের সংবাদ পেয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। শোকের মাসে সরকারি মিলনায়তনে নাচ গান কিভাবে হয় জানতে চাইলে তিনি জানান, হয়না বলেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

 

 

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২৩ | সময়: ৯:০৯ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine