বৃহস্পতিবার, ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রায় ৮০ লাখ টাকা সরকারি রাজস্বের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজশাহীর পবা উপজেলা ভুমি অফিসের ক্যাশিয়ার কাজেম আলীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রাববার দুর্নীতি দমন কমিশনের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৭। আসামি কাজেম আলী পবা উপজেলা ভুমি অফিসের সাবেক নাজির কাম ক্যাশিয়ার। তিনি রাজশাহী মহানগরীর কেশবপুর মহল্লার আলি হোসেনের পুত্র।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কাজেম আলী জেলার পবা উপজেলা ভুমি অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার থাকাকালে ডিসিআরের মাধ্যমে আদায়কৃত রাজস্বের অর্থ ট্রেজারি চালান টেম্পারিং এবং টাকার অংক বিকৃত করে মোট আদায় থেকে ৭০ লাখ টাকা উধাও করেন। এছাড়াও সরকারি চালান জালের মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব থেকে আরও ৯ লাখ ২৬ হাজার ২৮১ টাকা আত্মসাৎ করেন। কাজেম আলী ২০১০ সালের ২৬ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উপজেলা ভুমি অফিসের নাজিম কাম ক্যাশিয়ার থাকাকালে ডিসিআর (সরকারি রাজস্বখাত) বাবদ মোট ৮৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩১ টাকা সরকারি চালানের মাধ্যমে আদায় করেন। এই টাকার মধ্যে ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৫০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করেন। বাকি ৭৯ লাখ ২৬ হাজার ২৮১ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি প্রথমে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় নজরে আসে।
জানা গেছে, প্রাথমিক অভিযোগের পর দুদকের অনুসন্ধানে এই বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি শনাক্ত হয়। দুদক প্রধান অফিসের অনুমোদন সাপেক্ষে রবিবার রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে কাজের আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনের ৪০৯/৪২০/৪৬৭/ ৪৬৮/৪৭১/৪৭৭ (এ) ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন জানান, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মামলা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কাজেম আলী পবা উপজেলা ভুমি অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার ছিলেন। রাজস্বের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি অনুসন্ধানে শনাক্ত হলে তাকে বদলি করে রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাধারণ শাখায় অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক করা হয়। সম্প্রতি কাজেম আলী অবসর প্রস্তুতি ছুটিতে (পিআরএল) রয়েছেন।