মঙ্গলবার, ১২ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার : যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খেলাধুলার উন্নয়নের জন্য বাজেট বৃদ্ধি করেছেন। তিনি বিভিন্ন স্কীমের মাধ্যমে খেলাধুলার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় খেলাধুলার মাধ্যমেও বাংলাদেশ বিশে^র কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত হচ্ছে।
রবিবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে ক্রীড়ার মানোন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, আজ পুঠিয়াবাসীর আনন্দের দিন, বাড়ির পাশে খেলাধুলার জন্য শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম পেয়েছেন। আমি আশা করছি এর মাধ্যমে এলাকার তৃণমূল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় বেরিয়ে আসবে। যারা বিশে^র দরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রত্যেক গ্রামকে শহরের মতো করে গড়ে তুলবেন। সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করছে। ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে রাজশাহী জেলার ছয়টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম করা হচ্ছে; যাতে করে গ্রাম থেকে ভালো খেলোয়াড় তৈরি হতে পারে। দূর্গাপুর ও চারঘাট উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের প্রস্তাবনা দেয়া আছেÑ এগুলোর কাজও খুব শিগ্গিরই শুরু হবে বলে তিনি জানান।
বিভিন্ন ভাতা দিয়ে খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পিতা-মাতা যাতে সন্তানদের খেলার প্রতি উৎসাহী করে তোলে সেজন্য বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন হতে ভাতা দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে নতুন করে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বছরে বার হাজার টাকা এবং কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বছরে চব্বিশ হাজার টাকার বৃত্তি চালু করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, খেলাধুলার উন্নয়নের জন্য আমরা নিয়মিত আন্তঃবিশ^বিদ্যালয় খেলার আয়োজন করছিÑ যেখানে ২০১৯ সালে দেশের ৬৫টি সরকারি-বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে। ২০২১ সালে ১০৪টি এবং ২০২২ সালে ১৩৯টি বিশ^বিদ্যালয় এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এবারের টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে বলে এ সময় তিনি জানান।
দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ঘর থেকে রাস্তায় বের হলেই উন্নয়ন আমাদের চোখে দৃশ্যমান। দেশের বিভিন্ন স্থানে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য প্রায় ১৪ হাজার ক্লিনিক হয়েছে, ভূমিহীন মানুষ জমিসহ ঘর পেয়েছেন। এখন আর কোনো মানুষ না খেয়ে থাকে না।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.কে.এম নূর হোসেন নির্ঝর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মো: মনসুর রহমান, পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জি. এম হিরা বাচ্চু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: আনিসুল ইসলাম, পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।